Advertisement
E-Paper

সন্দীপ পাতিলের ছিল একাধিক বান্ধবী, শ্রীকান্ত নাকি টি২০-র জনক, জানতেন?

সবচেয়ে বেশি জমিয়ে দিয়েছিলেন শ্রীকান্ত। তিনি জানান, “দলের সবার জন্য মাঠে নামার আগে নির্দেশিকা থাকত, কিন্তু আমার জন্য কোনও নির্দেশিকা ছিল না। বলা হত, তুমি যা ভাল বুঝবে তেমন ভাবেই খেল।’

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৯ ১৪:২৯
শো ছিল তুখোড়, জমজমাট। ছবি টুইটার থেকে।

শো ছিল তুখোড়, জমজমাট। ছবি টুইটার থেকে।

ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। বলা ভাল বিশ্বকাপ জয়ের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। ১৯৮৩ সালে প্রথম বার বিশ্বকাপ ক্রিকেট জিতেছিল ভারত। সেই প্রথম বার হাতে ছুঁয়ে দেখা বিশ্বকাপ। অধিনায়ক কপিলদেব নিখাঞ্জ। সঙ্গে ছিলেন সুনীল গাওস্কর, দিলীপ বেঙ্গসরকার, মহিন্দর অমরনাথ, সন্দীপ পাতিল, কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত, রজার বিনি, কীর্তি আজাদ, মদনলাল, সৈয়দ কিরমানি, বলবিন্দর সিংহ সাঁধু, যশপাল শর্মা। সেই একই দলকে এ বার দেখা গেল কপিল শর্মার শোয়ে। তবে গাওস্কর ছিলেন ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে। শ্রীকান্তের শট থেকে সন্দীপের বান্ধবী— নানা রসালো গল্পে জমে উঠল শো।

বিশ্বকাপ জয়ের পর তিন বছরের ছোট্ট কপিল শর্মার নাম রাখা হয় হরিয়ানা হ্যারিকেনের নামেই। তার আগে পর্যন্ত অসংখ্য ডাক নাম থাকলেও কোনও ভাল নাম ছিল না বলে দাবি করেছেন কপিল শর্মা। কপিল দেব বলেন, আসলে তাঁদের টিমে দু’জন অধিনায়ক ছিলেন। এক জন তিনি। অপর জন সন্দীপ পাতিল।

সন্দীপ নাকি ছিলেন তাঁদের রাতের পার্টির অধিনায়ক। সশরীরে না হলেও ভিডিয়ো কনফারেন্সে অনুষ্ঠানে অংশ নেন সুনীল গাওস্কর। বলেন, গোয়ায় থাকতে ভালবাসতেন বলে, গাওস্করকে ‘গোয়াস্কর’ বলা হত। এরকমই নানা নস্টালজিয়া ছুঁয়ে ছিল কপিলের শোয়ে।

খেলা নিয়ে আগ্রহ থাকলে, এ প্রশ্নের উত্তর আপনার জানা

গাওস্করের রুমমেট ছিলেন সন্দীপ পাতিল। সন্দীপের বেশ কিছু বান্ধবী ছিলেন। সন্দীপ তো গাওস্করের চেয়ে বয়সে বড়। তাই সংকোচ বোধ করতেন গাওস্কর। এদিকে একের পর এক নতুন কোনও বান্ধবী আড্ডা দিতে এলে গাওস্করকে বার বার ঘরের বাইরে বেরিয়ে যেতে হত। যাতে সন্দীপ আড্ডা জমাতে পারেন বান্ধবীদের সঙ্গে। এমনই সব মজার তথ্যও উঠে এসেছে শোয়ে।

১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যরা মেতে ওঠেন নস্টালজিয়ায়।

বিশ্বকাপের ফাইনালে যে তাঁরা উঠতে পারবেন, এ কথা নাকি কেউ ভাবতেই পারেননি। তাই প্রত্যেকে আমেরিকা সফরের পরিকল্পনা করেছিলেন। টিকিটও বুক ছিল। এমন সময় তাঁরা জিতে গেলেন সেমিফাইনাল। এমন সময় মহিন্দর অমরনাথের কথায় হাসির ছররা ওঠে। তিনি বলেন, ‘‘কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত আসলে টি-২০’-র জনক। কারণ ২০ ওভারের বেশি মাঠে থাকতে চাইতেন না তিনি। শর্ট ইনিংসে শ্রীকান্তের জুড়ি আর কেউ ছিল না।’’

আরও পড়ুন: প্রত্যাবর্তনেই বিধ্বংসী সেঞ্চুরি ওয়ার্নারের

যশপাল শর্মার খেলা রঞ্জিতে দেখে তাঁর নাম বিসিসিআই-কে জানিয়েছিলেন দিলীপ কুমার। ইউসুফ ভাই নামে কেউ এক জন তাঁর নাম বলেছেন, এমনটাই জেনেছিলেন যশপাল। পরবর্তীতে জানতে পারেন, তাঁর প্রিয়তম নায়ক দিলীপ কুমারও তাঁর ফ্যান। তিনিই ইউসুফ ভাই। এই তথ্যও জানা গেলে কপিলের শোয়ে।

আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের দল বেছে নিলেন সৌরভ, জায়গা হল না ঋষভের

’৮৩ বিশ্বকাপজায়ী দলের সদস্যদের চমক দিতে উপস্থিত ছিলেন হরভজন সিংহ। তিনি বলেন, এই প্রত্যেক ক্রিকেটারই তাঁর জীবনের অনুপ্রেরণা।

তবে সবচেয়ে বেশি জমিয়ে দিয়েছিলেন শ্রীকান্ত। তিনি জানান, “দলের সবার জন্য মাঠে নামার আগে নির্দেশিকা থাকত, কিন্তু আমার জন্য কোনও নির্দেশিকা ছিল না। বলা হত, তুমি যা ভাল বুঝবে তেমন ভাবেই খেল।’

আরও পড়ুন: কে সেরা ব্যাটসম্যান, সচিন নাকি বিরাট? ওয়ার্ন বললেন...

বিশ্বকাপ ফাইনালে ভিভ রিচার্ডস একের পর এক চার-ছয় মারছিলেন মদনলালকে। কপিল তো বেশ খেপেই গিয়েছিলেন। মদনলালেরও জেদ চেপে গিয়েছিল। কপিল তাঁকে পরের ওভারে বল দিতে না চাওয়ায় প্রায় জোর করেই বল ছিনিয়ে নেন মদনলাল। আর সেই ওভারেই রিচার্ডসকে ফিরিয়েছিলেন মদনলাল।

Cricket Cricketer Kapil Sharma 1983 World Cup
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy