কুইন্টন ডি কক এতটাই প্রতিভাবান যে, অন্যতম গ্রেট হয়ে উঠতে পারে। ওর বয়স মাত্র ২২। রাজকোটে ওর সেঞ্চুরির মতো পরিণত, দায়িত্ববান ইনিংস খুব কম দেখেছি। ওখানকার অসহ্য গরমে ফোকাস ধরে রাখা খুব কঠিন ছিল। কিন্তু কুইনিও বদ্ধপরিকর ছিল।
মোহিতের নো বলটা নিয়ে ফাফ কিছুটা সৌভাগ্যবান ছিল। কিন্তু ওয়ান ডে-তে ৯৯.৯৯ শতাংশ জয়ই ভাগ্য ঠিক করে দেয়। মোহিতের জন্য খারাপ লাগছে, আবার মাইকেল হোল্ডিংয়ের বিখ্যাত উক্তিটাও মনে পড়ছে— লাইনটা সাদা আর মাটিতে আঁকা। ওটার নড়চড় নেই।
ভাগ্য ভাল আমি নিজে নো-বল লাইনটা খুব বেশি পেরোই না। কিন্তু যখন পেরোই, নিজেকে ক্ষমা করতে পারি না। মর্নিরও কিছু সমস্যা ছিল, তবে মনে হয় সেগুলো মিটে গিয়েছে। নিজেকে শুধরনোর জন্য এমন কিছু নেই যা ও করতে পারে না। এক সময় তো জুতোর হিলটা বাড়ানোর কথাও ভাবছিল!
২৭০ টার্গেট হিসেবে খারাপ নয়, যদিও গড়ের একটু কমই। একটা সময় মনে হচ্ছিল আমরা হাসতে হাসতে তিনশো পেরিয়ে যাব। তবে পাল্টা লড়াইয়ের জন্য ভারতীয় বোলারদের যতটা প্রশংসা প্রাপ্য, ততটাই প্রশংসা করতে হবে আমাদের বোলিংয়ের। ওই স্কোর ডিফেন্ড করার জন্য।
দুটো টিমই এমন ম্যাচ হেরেছে যেগুলো তাদের জেতার কথা ছিল। তবে ভারতের বেলা সেটা দু’বার হয়ে গিয়েছে। রাজকোটে ওদের যখন আট উইকেট হাতে, ১২০ রান দরকার আর ক্রিজে এমএস-বিরাট, তখন দেশে বসে খেলা দেখা আমার কিছু বন্ধু টিভি চ্যানেল পাল্টে দিয়েছিল। ওরা ভেবে নিয়েছিল, গেম ওভার।
আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি যে, মাঠে থাকাকালীন আমাদের এই অনুভূতিটা কোনও দিন হয় না। যে কোনও বলে উইকেট পড়তে পারে, আর একটা উইকেট ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। আমরা জানতাম যে আমাদের উইকেট দরকার। কিন্তু এক সেকেন্ডের জন্যেও মনে হয়নি যে আমরা ম্যাচের বাইরে চলে গিয়েছি। ইনিংস এগোলে রান করা কঠিন হয়ে যায়। ওই সময় মর্নির মোকাবিলা করা আরও কঠিন। ওর লেংথ ঠিক থাকলে যে কোনও পিচে ব্যাটসম্যান বাউন্ডারির কথা ভাবে না। ভাবে, বলটা যেন তার পাঁজরে না লাগে!
আমরা এখন একটা সংঘবদ্ধ বোলিং ইউনিট, যারা একে অপরের সাফল্য সেলিব্রেট করি। চেন্নাই ম্যাচের জন্য অধীর আগ্রহে বসে আছি। সিরিজটা যাতে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত না গড়ায়, তার জন্য সব কিছু করতে আমরা তৈরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy