সুভাষ ভৌমিক এবং সুব্রত ভট্টাচার্য।
আগামী মরসুমেও ইস্টবেঙ্গলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর (টিডি) থাকছেন সুভাষ ভৌমিক। বাংলা নববর্ষের সকালেই তাঁর নাম সরকারি ভাবে ঘোষণা করে দিলেন লাল-হলুদ কর্তারা। তবে কোচ খালিদ জামিলের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন থেকেই গেল।
রবিবার সকালে বারপুজোর পরে লাল-হলুদের এক শীর্ষকর্তা বললেন, ‘‘সুভাষদা পরের মরসুমেও থাকছেন। শুধু কলকাতা লিগ নয়। তার পরেও থাকতে পারেন তিনি। তবে খালিদ থাকবেন কি না তা সময় বলবে।’’
মোহনবাগান অবশ্য অনেক আগেই আগামী মরসুমের কোচ হিসেবে শঙ্করলাল চক্রবর্তীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছে। তবে রবিবার সকালে মোহনবাগানের ড্রেসিংরুমে সুব্রত ভট্টাচার্যকে ঢুঁ মারতে দেখে গুঞ্জন ছড়ায়, তা হলে কি নির্বাচনের বছরে শঙ্করলালের মাথায় আই লিগে টিডি হিসাবে আনা হচ্ছে সুব্রতকে? ফুটবল বিভাগের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলতেও দেখা গিয়েছে মোহনবাগানের প্রাক্তন অধিনায়ককে। কর্তারা অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁদের ভাবনায় এখনও সুব্রতর নাম নেই।
সুভাষ-শঙ্কর, দুই ক্লাবে নিশ্চিত হয়ে গেলেও পরের মরসুমে অধিনায়ক কে হবেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত। ঐতিহ্য মেনে পয়লা বৈশাখের সকালে নতুন মরসুমের অধিনায়কের হাত দিয়েই গোলপোস্টে সিঁদুর দেওয়ার রীতি চলে আসছে একশো বছরের বেশি সময় ধরে। এ বারই তাঁর ব্যতিক্রম হল। ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে কেভিন লোবোর নাম অধিনায়ক ঘোষণা করা হলেও কর্তারা জানেন, তিনি দল বদলাচ্ছেন। তাঁর সম্ভাব্য দল আইএসএলের এটিকে বা এফ সি গোয়া। সহকারী অধিনায়ক হিসেবে নাম জানানো হয় লুইস ব্যারেটোর। কিন্তু তিনিও ক্লাব ছাড়ছেন বলে খবর। শীর্ষকর্তারা জানাচ্ছেন, এই মুহূর্তে বেশিদিন খেলা ফুটবলার বলতে রয়েছেন অনামী কৌশিক সরকার। ফলে অধিনায়ক বাছতে গিয়ে কর্তারা হিমশিম। ইস্টবেঙ্গল তবুও লোবোর নাম জানিয়েছে। কিন্তু মোহনবাগানের অধিনায়ক কে হবেন, তা ঠিকই করতে পারেনি কর্তারা। মুম্বই সিটি এফ সি থেকে অবিনাশ রুইদাস এবং মহমেডানের জিতেন মুর্মুকে সই করিয়েছে মোহনবাগান।
তবে কলকাতা ময়দানের সব চেয়ে বড় উৎসব পয়লা বৈশাখে বারপুজোর রীতি এখনও টিঁকে থাকলেও সেই জৌলুস আর নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy