Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Sunil Chhetri

Sunil Chhetri: সুনীলের সাফ-স্মৃতিচারণে জেজে, ভাইচুংদার কথা  

জেজের গোলই সেরা: আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ফাইনালে জেজে লালপেখলুয়ার গোলটাই এখনও পর্যন্ত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে আমার দেখা সেরা।

মহড়া: মলদ্বীপে অনুশীলনে সুনীল, চিংলেনসানা, প্রীতম। এআইএফএফ

মহড়া: মলদ্বীপে অনুশীলনে সুনীল, চিংলেনসানা, প্রীতম। এআইএফএফ

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২১ ০৮:২১
Share: Save:

ভারতের হয়ে ১৩ বছর আগে প্রথম বার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে মাঠে নেমেছিলেন। ৩৭ বছর বয়সি সেই সুনীল ছেত্রী এ বারও সাফে প্রধান ভরসা ভারতীয় দলের। ৪ অক্টোবর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে অভিযান শুরু করছে ভারত। বৃহস্পতিবার মলদ্বীপের টিম হোটেলে বসে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুনীল ফিরে গেলেন অতীতে।

স্মরণীয় সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ: এখনও পর্যন্ত আমার কাছে সেরা ২০১৫-’১৬ মরসুমে তিরুঅনন্তপুরমে সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়া। ফাইনালে আমাদের প্রতিপক্ষ ছিল আফগানিস্তান। সেটা একটা অসাধারণ অভিজ্ঞতা। আমাদের দলে তখন একঝাঁক তরুণ ফুটবলার। প্রথম ম্যাচেই চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যায় রবিন সিংহ। ফাইনালে প্রায় ৪০ হাজার দর্শক আমাদের সমর্থন করেছিলেন। এই স্মৃতি সারা জীবন আমার মনে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।

জেজের গোলই সেরা: আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ফাইনালে জেজে লালপেখলুয়ার গোলটাই এখনও পর্যন্ত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে আমার দেখা সেরা। ম্যাচটা খুব কঠিন ছিল। তার উপরে আমরা ০-১ পিছিয়ে পড়ি। এই পরিস্থিতিতে জেজের গোলের তাৎপর্যই আলাদা ছিল। তখন যদি ও গোলটা না করত, তা হলে হয়তো ফল অন্য রকম হত। শেষ পর্যন্ত আমরা ২-১ জিতে
চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম।

সাফের সবচেয়ে কঠিন ম্যাচ: একটা নয়, বেশ কয়েকটি। তবে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করতে হবে ২০১৩ সালে কাঠমান্ডুতে গ্রুপ পর্বে নেপালের বিরুদ্ধে ম্যাচটা। স্টেডিয়াম সে দিন দর্শকপূর্ণ ছিল। ম্যাচ চলাকালীন নেপালের সমর্থকেরা প্রচণ্ড চিৎকার করছিল। আমরা সে দিন ১-২ হেরে মাঠ ছেড়েছিলাম। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে এখনও পর্যন্ত ওটাই আমার খেলা সব চেয়ে কঠিন ম্যাচ।

ভয়ঙ্কর ভাইচুং: সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে আমি অনেকের সঙ্গে জুটি বেঁধে খেলেছি। কিন্তু আমার মতে, সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ভাইচুংদা (ভুটিয়া)। কেন তা আমার ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নেই। ওর নামটাই যথেষ্ট।

সেরা সতীর্থ: অসংখ্য ফুটবলারের সঙ্গে খেলেছি। সেই ধারা এখনও বজায় রয়েছে। আমি ভাগ্যবান ভাইচুংদা ও জেজে-কে সতীর্থ হিসাবে পেয়েছিলাম। মাঠের ভিতরে ও বাইরে ওদের সঙ্গ দারুণ উপভোগ করেছি। যদি মাঠের মধ্যে সেরা বাছতে হয়, সেক্ষেত্রে আমি ভাইচুংদা ও জেজের নাম উল্লেখ করব। ওদের সঙ্গে আমার দুর্দান্ত বোঝাপড়া ছিল। একইসঙ্গে বলতে হবে ইউজেনসন লিংডোর নামও। খুব বেশি দিন ওর সঙ্গে খেলেনি। কিন্তু ইউজেন অসাধারণ। আমরা খুব ঘনিষ্ঠও। অবশ্য প্রত্যেকের সঙ্গেই আমার খুব ভাল সম্পর্ক। সকলেই আমার কাছের মানুষ।

সাফের সেরা আলি আসফাক: সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারত বরাবরই দাপট দেখিয়েছে। কিন্তু এই প্রতিযোগিতায় সেরা ফুটবলার নিজের দেশের কাউকে বাছব না। সব সময় আমি মলদ্বীপের আলি আসফাকের কথাই বলব। ও অসাধারণ! পায়ে বল থাকলে ওর মতো ভয়ঙ্কর ফুটবলার আমি এই প্রতিযোগিতায় অন্তত দেখেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE