—ফাইল চিত্র।
সুপার কাপের সেমিফাইনালে বেঙ্গালুরু এফ সি-র মুখোমুখি হল মোহনবাগান। শুক্রবার ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে সুনীল ছেত্রীর হ্যাটট্রিকের সৌজন্যে বেঙ্গালুরু কার্যত উড়িয়ে দিল নেরোকা এফ সি-কে। ম্যাচের ফল ৩-১।
এক সময় খেলে যাওয়া দলের বিরুদ্ধে ১৭ এপ্রিল সেমিফাইনাল খেলতে নামার আগে সুনীল ছেত্রী বলে দিলেন, ‘‘আমরা যে মোহনবাগানের সঙ্গে এক বছর আগে খেলেছিলাম তার সঙ্গে এখনকার দলের কোনও তুলনাই হয় না। অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। আমরা একটা দল হিসাবে খেলেছি এ দিন। হ্যাটট্রিক আমি পেয়েছি ঠিক, কিন্তু এটা দলের জয়।’’
বেঙ্গালুরুর এই ম্যাচটি দেখতে কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী-সহ আট জন ফুটবলার গিয়েছিলেন স্টেডিয়ামে ম্যাচ দেখতে। খেলা দেখে হোটেলে ফেরার পথে দলের সবথেকে সিনিয়র ফুটবলার শিল্টন পাল বললেন, ‘‘বেঙ্গালুরু খুব ভাল খেলল। সুনীল গোলগুলো পেয়ে গিয়েছে। আমাদের যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে।’’ এ দিন কোনও অনুশীলন ছিল না দিপান্দা ডিকা, আক্রম মোগরাভিদের। আজ শনিবার থেকে বেঙ্গালুরুকে হারানোর রণনীতি তৈরি করতে অনুশীলনে নামবে মোহনবাগান।
ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ক্লাব সুপার কাপকে গুরুত্ব দিচ্ছে না, এই গুঞ্জন এ দিন থামিয়ে দিল বেঙ্গালুরু এফ সি। আইএসএলের অন্য দলগুলোর সঙ্গে সুনীল ছেত্রীদের ফারাক হল, এ এফ সি কাপের ম্যাচ খেলার জন্য তারা নিয়মিত অনুশীলনের মধ্যে রয়েছে। এই মরসুমে কোনও ট্রফি পায়নি আলবার্তো রোকার দল। ফলে সুপার কাপ জয়কে পাখির চোখ করেছে তারা। সেই তাগিদের জোরেই এ দিন আই লিগের রানার্সকে হারানোর জন্য মরিয়া ছিলেন উদান্তা সিংহরা। মণিপুরের ক্লাব ১-১ করা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত লড়াই করে ম্যাচ বের করে নিয়ে যান সুনীলরা।
এ দিকে, বৃহস্পতিবারের এফ সি গোয়া বনাম জামশেদপুরের ম্যাচে ছয় ফুটবলার সাসপেন্ড হয়েছিলেন। তার মধ্যে গোয়ার তিন জন ছিলেন। সব মিলিয়ে গোয়ার পাঁচ জন ফুটবলার সেমিফাইনালে খেলতে পারবেন না ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy