মোহনবাগান দল। —ফাইল চিত্র।
সুপার কাপে ডার্বির স্বপ্নে জল ঢেলে দিল বেঙ্গালুরু এফসি। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মোহনবাগান জয়ের স্বপ্ন নিয়েই নেমেছিল কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে। কিন্তু তেমনটা হল না। টুর্নামেন্টের কঠিনতম প্রতিপক্ষের কাছে হেরে গেল বাংলার দল।
একদিন আগেই দুর্বল এফসি গোয়ার কাচে ১-০ গোলে জিতে সুপার কাপের ফাইনালে পৌংছে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। তার পর থেকেই ডার্বির স্বপ্ন দেখতে শুরু করে কলকাতার ফুটবলপ্রেমীরা।
যদিও লড়াই হল হাড্ডাহাড্ডি। ম্যাচের ফল ৪-২। মিকুর হ্যাটট্রিকেই বাজিমাত বেঙ্গালুরু এফসির। সঙ্গে সুনীল ছেত্রীর এক গোল। ম্যাচ শুরুর আগে ওয়ার্ম আপের সময় বেঙ্গালুরুর জুনান আহত হয়ে ছিটকে গেলেন। তাঁর জায়গায় প্রথম দলে এলেন হরমনজ্যোত খাবরা। শুরুতে ধাক্কা খেয়েও দমে যায়নি বেঙ্গালুরু। বরং শুরু থেকেই মোহনবাগানকে চাপে রেখেছিল সুনীল ছেত্রীর দল।
আরও পড়ুন
মুম্বইয়ের রাস্তায় ক্রিকেট খেললেন সচিন
প্রথমার্ধের শুরু থেকে দু’পক্ষই গোলের সুযোগ পেয়েছিল। শুরুটা করে দিয়েছিল মোহনবাগানই। ৪২ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে মোঘরাবির পাস ধরে দীপান্ডা ডিকার গোলমুখি শট বাঁচাতে পারেননি গুরপ্রিত। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান। ৫০ মিনিটে লাল কার্ড দেখে বেরিয়ে যায় বেঙ্গালুরুর নিশু। ৪০ মিনিট ১০ জনে বেঙ্গালুরুকে পেয়েও মোহনবাগান জিততে তো পারলই না বরং হেরে যেতে হল সবুজ-মেরুনকে।
৬৩ মিনিটে মিকুর গোলে সমতায় ফেরে বেঙ্গালুরু। পরবর্তীতে এই মিকুর পা থেকেই আসে হ্যাটট্রিক। এক মিনিটের মধ্যেই সুযোগ চলে এসেছিল মোহনবাগানের সামনে। কিন্তু তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ দীপান্ডা ডিকা। তার এক মিনিটের মধ্যে মিকুর আবার গোলে এগিয়ে যায় বেঙ্গালুরু। কে বলবে তখন ১০ জনে খেলছিল বেঙ্গালুরু।
৮৮ মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে যায় বেঙ্গালুরু। উদান্তাকে বক্সের মধ্যে ফাউল করে বসেন ঘরামি। পেনাল্টি থেকে নিজের হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন মিকু। ৯০ মিনিটে সুনীল ছেত্রীর গোলে ৪-১ করে ফেলে বেঙ্গালুরু। ওই শেষ মুহূর্তে ম্যাচে ফেরার সুযোগ না থাকলেও ডিকার গোলে ব্যবধান কমায় মোহনবাগান। সুপার কাপের ফাইনালে মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল-বেঙ্গালুরু এফসি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy