ফাইল চিত্র
২০১২ লন্ডন অলিম্পিক্সে তিনিই ছিলেন পতাকাবাহক। কারণ চার বছর আগের বেজিং অলিম্পিক্সে ভারতকে গর্বিত করে কুস্তিতে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন সুশীল কুমার। কিন্তু লন্ডন অলিম্পিক্সের আগে সুশীলকে পতাকাবাহক হতে বারণ করা হয়েছিল! কারণ, কুসংস্কার।
সুশীলের জীবনের সেই অজানা কাহিনিই সামনে উঠে এল এক অনলাইন অনুষ্ঠানে। মঙ্গলবার ছিল অলিম্পিক্স দিবস। সেই উপলক্ষে বাংলার অলিম্পিয়ান শুটার জয়দীপ কর্মকার একটি অনলাইন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। যেখানে হাজির ছিলেন আরও ছ’জন অলিম্পিয়ান— রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় (তিরন্দাজি), সঞ্জীব রাজপুত (শুটার), অভনীত সিধু (শুটার), গগন নারঙ্গ (শুটার), শিবা কেশবন (শীতকালীন অলিম্পিক্সে ছ’বারের অংশগ্রহণকারী) এবং সুশীল কুমার। জয়দীপের সঞ্চালনায় এক এক জন অলিম্পিয়ান তুলে ধরেন তাঁদের অলিম্পিক্স অভিযানের নানা অজানা কাহিনি। যেখানে সুশীল তাঁর জীবনের এই কাহিনিটি শুনিয়েছেন। সুশীল বলেছেন, ‘‘আমি বেজিং অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জেতার পরে লন্ডন অলিম্পিক্সের জন্য পতাকাবাহক নির্বাচিত হই। তখন আমার ঘনিষ্ঠ একজন বলে, ‘পতাকাবাহক হতে যেয়ো না। কারণ, পতাকাবাহকরা পদক জেতে না।’ কিন্তু আমি ওর কথা শুনিনি।’’
তার পরে কী হয়েছিল, সবার জানা। পরপর দু’বার অলিম্পিক্সে পদক জিতে ইতিহাস গড়েন সুশীল। আর ফিরে এসে সেই ব্যক্তির সামনে রুপোর পদক নিয়ে গিয়ে বলেন, ‘‘আমি আজ থেকে কুসংস্কারটা ভেঙে দিলাম। দেখিয়ে দিলাম, পতাকাবাহক হলেও পদক জেতা যায়।’’ এমনই সব কাহিনির কোলাজ ফুটে উঠেছে ওই অনুষ্ঠানে। জয়দীপ বলছিলেন, ‘‘হিসেব করে দেখলাম, এই অনুষ্ঠানের অংশগ্রহণকারীরা সব মিলিয়ে মোট ১৮বার অলিম্পিক্সে নেমে তিনটি পদক পেয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy