একদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বলছে মুস্তাফিজুরকে কাউন্টি খেলতে ছাড়া যাবে না। অন্যদিকে মুস্তাফিজুরকে নিয়ে পরিকল্পনা তৈরি সাসেক্সের। আইপিএল শেষ হলেই কাউন্টি খেলতে উড়ে যাওয়ার কথা মুস্তাফিজুরের। কিন্তু অতিরিক্ত ক্রিকেট খেলে দেশের ক্রিকেটারকে নষ্ট হতে দিতে চায় না বোর্ড। এর উপর আবার বিগ ব্যাশ লিগের হাতছানি। সব মিলে এই মুহূর্তে মুস্তাফিজুর রহমানের চাহিদা ক্রিকেট বিশ্বে তুঙ্গে।
এমন অবস্থায় উভয় সঙ্কটে স্বয়ং মুস্তাফিজুর। তিনি নিজে এখনও জানেন না কী করবেন। দেশের বিরুদ্ধেও যেতে পারবেন না। যার ফলে তাঁর কাউন্টি খেলা সঙ্কটে। কিন্তু সাসেক্স দলের কোচ মার্ক ডেভিস নিশ্চিত তাঁকে তাঁরা দলে পাচ্ছেনই। ডেভিস বলেন, ‘‘আমরা এখনই কিছু বলতে পারছি না কিন্তু আমি নিশ্চিত ও আমাদের সঙ্গে যোগ দেবে।ও এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা বোলার। যে কারণে ওকে পেতে আমরা মুখিয়ে রয়েছি। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পুরো ব্যাপারটি পরিস্কার হয়ে যাবে।’’
গত মার্চেই সাসেক্সের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল দ্বিতীয় বিদেশি প্লেয়ার হিসেবে তাঁরা মুস্তাফিজুরকে দলে নিচ্ছেন। এবং তাঁর ২০১৬-তে ন্যাটওয়েস্ট টি-২০ ব্লাস্ট ও রয়্যাল লন্ডন ওয়ান ডে কাপে খেলার কথাও তারা ঘোষণা করেছিল। যদিও তার আগে টানা ক্রিকেট খেলছেন বাংলাদেশের এই বিস্ময় বালক। যদিও আইপিএল-এর আগে চোটের জন্য এশিয়া কাপ ও টি২০ বিশ্বকাপের অনেক ম্যাচই খেলতে পারেননি তিনি। তাই বেশি খেলে চোট বাড়ানোর পক্ষে নন কেউই।
যদিও সম্প্রতি বিসিবি-র তরফে জানানো হয়েছিল, এই সিদ্ধান্ত ছেড়ে দেওয়া হবে মুস্তাফিজুরের উপরই। এবং এখনও কিছু ফাইনাল হয়নি। ক্রিকেট অপারেশন চেয়ারম্যান আক্রম খান বলেন, ‘‘মুস্তাফিজুর কাউন্টি খেলবে কী না সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি। যদিও এটা ওর ব্যাক্তিগত সিদ্ধান্ত। আমরা উপদেশ দিতে পারি শুধু।’’ যদিও সালরাইজার্সের নক-আউটে ওঠার সম্ভবনা উজ্জ্বল হওয়ার সঙ্গেই মুস্তাফিজুরের সাসেক্সের সঙ্গে যোগ দেওয়ায় পিছিয়ে যাবে। যার ফলে মে-র শেষ পর্যন্ত তাঁকে থাকতে হবে ভারতেই। এর পরই জানা যাবে তিনি আদৌ কাউন্টি খেলতে যাচ্ছেন কী না।
আরও পড়ুন—উইকেট না পেয়েও কৃপণ বোলিং-এ বাজিমাত মুস্তাফিজুর
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy