ফাইনালে: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জয়ের পরে বিরাট কোহালি। ছবি: এএফপি।
ইংল্যান্ডের স্থানীয় সময়ে ঘড়িতে তখন ছ’টা তিন। বাংলাদেশকে ৫৯ বল বাকি থাকতে ৯ উইকেটে উড়িয়ে ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে উঠে গিয়েছে। স্বপ্নের ফাইনালে মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান। অধিনায়ক কোহালির প্রেস কনফারেন্সও এইমাত্র হয়ে গেল।
এজবাস্টন মাঠটার দিকে তাকিয়ে অদ্ভুত দৃশ্য দেখা গেল। ফিল্ডিং কোচকে নিয়ে হাত ঘুরিয়ে চলেছেন বিরাটের দলের প্রধান স্পিন-অস্ত্র। একটু আগে অশ্বিনের অধিনায়ক বলে গিয়েছেন, ‘‘ক্রিকেটে কোনও বার্তা দেওয়া হয় না। আজ দারুণ জিতলাম বলেই ফাইনালে ফেভারিট, এমন ভাবার কারণ নেই।’’
কিন্তু ম্যাচ শেষে মনে হচ্ছে, এই ছবিটাই আসল বার্তা। দলের এক নম্বর স্পিনার জেতা ম্যাচে দশ ওভার বল করেও আত্মতৃপ্তিতে ভুগছেন না। বরং ফাইনাল পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। বিরাটকে জিগ্যেস করা হয়েছিল, পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে ভাবা শুরু করেছেন কি? উত্তর দিলেন, ‘‘না।’’ পরে যা বললেন, তার সারমর্ম— ফাইনাল ফের নতুন শুরু। আজকের স্কোরবোর্ড সে দিন পুরনো।
আরও পড়ুন: ফাইনাল নিয়ে সতীর্থদের আগাম সতর্ক করছেন ‘আগ্রাসী’ কোহালি
পাক্কা পেশাদারের ভাবনা। ঠিক যে ভাবে তাঁরা গুড়িয়ে দিলেন বাংলাদেশকে। ২৬৪ রানের তুলনামূলক সহজ টার্গেট। তবু অহেতুক ঝুঁকি নয়, সাবধানী ভঙ্গিতে লক্ষ্যে পৌঁছলেন বিরাটরা। একটা সময়ে তামিম ইকবাল এবং মুশফিকুর রহিম আতঙ্ক ছড়িয়েছিলেন। বাংলাদেশ ১৫০ তুলে ফেলে ২৬.২ ওভারে। দু’জনকেই ফেরালেন কেদার যাদব। পার্টটাইম স্পিনার কেদারের দু’টো উইকেটই টার্নিং পয়েন্ট।
রোহিত চোট নিয়েও ফের বাংলাদেশের ঘাতক হয়ে থাকলেন। ২০১৫ বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি করে জিতিয়েছিলেন। এ দিন ১২৯ বলে ১২৩ নট আউট। কোহালি ৭৮ বলে ৯৬ নট আউট। তবু উচ্ছ্বাস নেই। অলিম্পিকের সেই বিখ্যাত উক্তিটাই কোহালিদের মন্ত্র। তুমি রুপো জিততে পারো না, শুধুই সোনা হারাতে পারো। ট্রফি না জিতে উৎসব কীসের!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy