সংস্থার ফিক্সড ডিপোজিট নিয়ে সদস্যদের পাঠানো কোষাধ্যক্ষের চিঠি-বিতর্ক ঢুকে পড়ল সিএবির ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে। শুধু ঢুকে পড়ল না, ছোটখাটো ঝড় উঠে গেল।
শনিবার সিএবিতে জরুরি ওয়ার্কিং কমিটি বৈঠক নিয়ে। যেখানে একমাত্র আলোচ্য বিষয় হওয়ার কথা ছিল, ক্লাব ক্রিকেটের নিয়মাবলীর পরিবর্তন। সেটা নিয়ে কথা হল ঠিকই। কিন্তু মুখ্য হয়ে থাকল, সিএবি কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে-র দিন কয়েক আগে সদস্যদের পাঠানো সেই চিঠি। যাকে ঘিরে দিন কয়েক আগে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়ে গিয়েছিল সিএবিতে। যেখানে সিএবি কোষাধ্যক্ষ লিখেছিলেন, সংস্থার বর্তমান ফিক্সড ডিপোজিট অঙ্ক এখন একশো কোটি ছাড়িয়েছে। এটাও লেখেন, তাঁর জমানায় ফিক্সড ডিপোজিটের অঙ্ক কোথা থেকে কোথায় গিয়েছে।
শোনা গেল, এ দিন ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক শেষে সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ই প্রসঙ্গটা তোলেন বৈঠকে। তিনি নাকি বলেন যে, দিন কয়েক আগে কোষাধ্যক্ষ এ রকম একটা চিঠি পাঠিয়েছেন কিছু সদস্যকে। কোষাধ্যক্ষ বৈঠকে নেই, তাই তাঁকে জিজ্ঞেস করা যাচ্ছে না। কিন্তু এটা বৈঠকের মিনিটসে নোট করা হবে। ফিনান্স কমিটির বৈঠকও ডাকা হবে। যেখানে সিএবি কোষাধ্যক্ষের কাছে পুরো ব্যাপারটার স্পষ্ট ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।
এটা ঘটনা যে, সিএবি কোষাধ্যক্ষ এ দিন বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। কারণ জানতে চাওয়ায় ফোনে বিশ্বরূপ বললেন, ‘‘এটা জরুরি ওয়ার্কিং কমিটি বৈঠক ছিল। একদিন আগে জানতে পারি। কিছু করার ছিল না। কারণ, আগে থেকে আজ আমার জেলা সফরের কথা ছিল।’’ বৈঠকে তাঁর চিঠির প্রসঙ্গ ওঠা নিয়ে কোষাধ্যক্ষের বক্তব্য, ‘‘জরুরি ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক একটা বিষয় নিয়ে হয়। আমার চিঠি ওঠার কিন্তু আইনগত কোনও জায়গা নেই।’’
যদিও সংস্থার কোনও কোনও সিনিয়র সদস্য বললেন যে, উঠতে পারে। প্রেসিডেন্ট চাইলে পারে। ওয়ার্কিং কমিটি নয়, বার্ষিক সাধারণ সভাতেও নির্দিষ্ট বিষয়ের বাইরে আলোচনা হয়। আর জবাবদিহি নিয়ে সিএবি কোষাধ্যক্ষের মন্তব্য বেশ নাটকীয়। বিশ্বরূপ বললেন, ‘‘জনতার কাছে দায়বদ্ধ এ রকম কোনও সংস্থায় থাকতে গেলে রোজই জবাবদিহি করতে হয়। অসুবিধে নেই। করে দেব!’’
শৈত্যের শেষ কোথায়, সেটাই এখন দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy