রাজকোট ভারতীয় স্পিনারদের দমিয়ে দেবে না। বরং ওদের আরও উন্নত করে তুলবে। প্রতিকূল পরিস্থিতি সাধারণত সে রকমই করে থাকে। মানসিক ভাবে ভারতীয় স্পিনাররা উন্নতি করবেই। একটা উদাহরণ দিই। এবড়োখেবড়ো রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় নিশ্চয়ই কেউ ঘণ্টায় একশো কিলোমিটার স্পিড তুলবে না। তখন লোকে সতর্ক ভাবে, রাস্তার উপর নজর রেখে গাড়ি চালাবে।
ওই পরিস্থিতিতে ভারতের ধৈর্য দরকার ছিল। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে পিচ ফ্ল্যাট ছিল। ইংরেজরাও বোকামি করেনি। বাউন্স আর স্পিনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার পরেই অশ্বিন-জাডেজা-মিশ্রদের মারা শুরু করেছিল। অগুনতি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছে ইংল্যান্ড। ভারতীয় স্পিনারদের ওদের ঘরের মাঠেই সব কিছু ভুলিয়ে ছেড়েছে।
ওই সময় ভারতের উচিত ছিল রে-রে করে ঝাঁপিয়ে না পড়ে অপেক্ষা করা। হয়তো বা পিচের একটা দিকে একটু বেশিক্ষণ বল করে যাওয়া। যে সময় দরকার ছিল ব্যাটসম্যানদের ভুলের জন্য অপেক্ষা করা, তখন ভারত দ্রুত উইকেট তোলার লড়াইয়ে তাড়াহুড়ো করে নেমে পড়ল। আশা করি এই টেস্টটা ভবিষ্যতেও জরুরি রেফারেন্স হিসেবে মনে রাখবে ওরা। মানে, পরে যখন ওরা অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়বে। যখন টেনশনে টিমের সবার তালু ঘেমে উঠবে।