মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ও এমএসকে প্রসাদ। ছবি: পিটিআই।
রবিবার বিহার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সচিব আদিত্য ভর্মা সরাসরি আঙুল তুলেছিলেন যুগ্ম সচিব অমিতাভ চৌধুরির দিকে। তাঁর জন্যই নাকি অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন ধোনি। তাঁর অভিযোগের তালিকায় উঠে এসেছে নির্বাচক প্রধান এমএসকে প্রসাদের নামও। সোমবারই সেই অভিযোগের জবাব দিলেন প্রসাদ। তিনি বলেন, ‘‘অধিনায়কত্ব ছাড়ার জন্য ধোনির উপর কোনও চাপ ছিল না। এটা ওর একান্ত ব্যাক্তিগত সিদ্ধান্ত। ও আমাকে রঞ্জি ট্রফি সেমিফাইনালের দিনই জানিয়েছিল। ঝাড়খণ্ড-গুজরাত ম্যাচে।’’
হঠাৎই সবাইকে চমকে সব রকম ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। অধিনায়কত্ব উঠেছে বিরাট কোহালির হাতে। কিন্তু তার পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এই ভাবে হঠাৎ তাঁর অধিনায়কত্ব ছাড়া নিয়ে। ১৯৯টি একদিনের ম্যাচে অধিনায়কত্ব করা ধোনি দাঁড়িয়েছিলেন ২০০তম ম্যাচের সামনে। আর কিছুদিন পরেই ঘরের মাঠে শুরু হতে চলেছে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে ও টি২০ সিরিজ। তার আগে এ ভাবে সরে যাওয়ায় প্রশ্ন এমনিতেই উঠছিল। সেই আগুনে ঘি-এর কাজ করেছে আদিত্য ভর্মার মন্তব্য। এমএসকে প্রসাদ বলেন, ‘‘ধোনি একজন সৎ মানুষ। আর এই সিদ্ধান্তটা অবাক হওয়ার মতো নয়। এটা একদম সঠিক সময় যখন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে কোহালি অনেকটা সময় পাবে নিজেকে উপযুক্ত করে নেওয়ার জন্য।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ধোনিকে অসংখ্য ধন্যবাদ ওর অবদানের জন্য। কিন্তু ওর কাজ এখনই শেষ হচ্ছে না। বিরাটের পাশে থাকতে হবে।’’
ধোনির নেতৃত্বে সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। টি২০ ও ওয়ান ডে বিশ্বকাপের পাশাপাশি এসেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ২০০৯এ দেশকে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে তুলেছিলেন তিনিই। যেটা আবার ফিরে এসেছে বিরাট কোহালির হাত ধরে। শুধু অধিনায়কত্ব নয় ব্যাট হাতেও রান করেছেন যা দেশের কাজে লেগেছে। ২৮৩টি ম্যাচে ধোনির রান ৯১১০, গড় ৫০.৮৯। সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৮৩। এখন প্লেয়ার হিসেবে দলের সঙ্গে থাকবেন কিন্তু ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত থাকবেন কি না সেটা সময়ই বলবে।
আরও খবর: অভিমানে অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন ধোনি!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy