গত সেপ্টেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক হকি থেকে হঠাৎ অবসর নেওয়ার জন্য সর্দার সিংহ দায়ী করলেন প্রাক্তন জাতীয় কোচ সোর্দ মারিন ও এখনকার ‘হাই পারফরম্যান্স ডিরেক্টর’ ডেভিড জনকে। জাতীয় হকি দলের প্রাক্তন অধিনায়ক নির্দিষ্ট করে একটি ঘটনার কথাও উল্লেখ করলেন। ঢাকায় গত বছর এশিয়া কাপের সময় তাঁকে ডেভিড জনের ঘরে ডেকে পাঠানো হয়। উপস্থিত ছিলেন মারিনও।
সর্দারের কথায়, ‘‘আমাকে ডাকা হয়েছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে নামার ঠিক আগে। সেখানে জন আমাকে বলেন, আমি প্রচুর ভুল করছি এবং ব্যক্তিগত স্বার্থ ভেবে খেলছি। একটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে আমাকে এই ধরনের কথা জানাতে ডাকা হয়েছিল। ভাবুন তখন আমার মনের অবস্থাটা কী হয়েছিল! কথাটা তো পরেও বলা যেত।’’
এশিয়ান গেমসের পরে ওমানে এশীয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য সম্ভাব্যদের দলে ডাকা হয়নি সর্দারকে। তার পরেই তিনি ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করতে বাধ্য হয়েছিলেন। ‘‘গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি প্রতিযোগিতাতেও আমাকে দলে নেওয়া হল না। যেমন বিশ্ব হকি লিগ এবং কমনওয়েলথ গেমস। তবু ভেবেছিলাম পরে আমাকে ফেরানো হবে। কিন্তু মালয়েশিয়ায় আমাকে জুনিয়র দলের সঙ্গে পাঠানো হল। তখন থেকেই নিজেকে প্রশ্ন করা শুরু করি, আমাকে নিয়ে সমস্যাটা কোথায় হতে পারে? অথচ এশিয়ান গেমসের পরে ভেবেছিলাম, ২০২০ সালের অলিম্পিক্স পর্যন্ত খেলে যাব।’’ যোগ করছেন, ‘‘আমি দারুণ ফিট ছিলাম। দলের সবচেয়ে ফিট খেলোয়াড়দের একজন বলে মনে করতাম নিজেকে। তবে আবার বাদ পড়ার পরেই খেলা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলাম।’’ সর্দার এ-ও জানালেন যে, কখনওই তাঁকে বাদ দেওয়ার কারণ বলা হয়নি, ‘‘দলে অনেক পরিবর্তন করা হচ্ছিল। শুধু দু’-তিন জনকে পরিবর্তন করলে এক রকম। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতার আগেও বহু পরিবর্তন হচ্ছিল। সবচেয়ে বড় কথা, কেন বাদ দেওয়া হল কাউকেই বলা হচ্ছিল না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy