ইডেনে ক্যারিবিয়ান উচ্ছ্বাসের ছবি তুলেছেন শঙ্কর নাগ দাস
শেষ ওভার শুরুর আগে টিভি ক্যামেরা একবার ধরেছিল তাঁর মুখ।
ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের বোলিং কোচ কার্টলে অ্যামব্রোসের মুখটা তখন থমথমে। তার চার বল পর যখন ফের ক্যামেরা জুম করল অ্যামব্রোসকে তখন তিনি মাঠের ভিতর ঢুকে জড়িয়ে ধরেছেন কার্লোস ব্রেথওয়েটকে। সামনে টিভি ক্যামেরা দেখে দু’আঙুলে ভিকট্রি সাইন নয়। তিনটে আঙুল দেখিয়ে ভিকট্রি সেলিব্রেশনে মাতলেন। যার অর্থ—এক মাসের মধ্যে তিনটি বিশ্বকাপ যে ঘরে তুলে ফেলল তাঁর ওয়েস্ট ইন্ডিজ—প্রথমে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। তার পর এ দিন বিকেলেই মহিলাদের টি-২০ বিশ্বকাপ জয়। আর বেসি রাতে ইডেন তারিয়ে তারিয়ে উপবোগ করল ড্যারেন স্যামিদের ক্যালিপ্সোর সুর আর নাচ।
ক্যারিবিয়ান বোলিং কোচ বলছিলেন, ‘‘শেষ ওভারেও বিশ্বাস হারাইনি ছেলেদের উপর। আস্কিং রেট বেশি থাকলেও জানতাম এই ম্যাচ বের করতে যে পাওয়ার দরকার, সেটা আমাদের এই টিমের আছে।’’
ততক্ষণে অধিনায়ক জ্যারেন স্যামি হুঙ্কার দিয়ে ফেলেছেন, ‘‘উই আর দ্য চ্যাম্পিয়ন।’’ কিন্তু তখনও যে শেষ ওভারে মাঠের চার ছক্কার বাইরে আরও ছক্কার ফুলঝুরি ক্যারিবিয়ান তারকাদের মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসবে কে জানত?
শুরুটা করেছিলেন মার্লন স্যামুয়েলস। ৮৫ রান করে এ দিন তিনিই ম্যাচ সেরা। চার বছর আগে শ্রীলঙ্কাতেও ক্যারিবিয়ানদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ঘরে তোলার বছরে তিনিই ছিলেন ম্যাচ সেরা। বলছিলেন, ‘‘ফাইনালের চাপটা কী, সেটা আগে থেকেই জানতাম। তাই ফাইনাল যত এগিয়ে আসছিল ততই নিজেদের সেরা শক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য নিজেকে আর গোটা টিমকে মোটিভেট করে গিয়েছি। জানতাম শুরুটা ভাল করলে পরের দিকে চাপটা সরে যায় এই ধরনের হাইপ্রেশার ম্যাচে।’’ এ পর্যন্ত বলে ট্রফিটা শক্ত করে হাতে ধরলেন স্যামুয়েলস। তার পর ফাটালেন আসল বোমাটা, ‘‘এই জয়টা শেন ওয়ার্নকে উৎসর্গ করছি। কয়েকদিন ধরেই ও অনেক কথা বলছিল। তাই আজ সকালে উঠেই ঠিক করে নিয়েছিলাম ট্রফিটা আজ ওকে উৎসর্গ করলাম।’’
ক্যারিবিয়ানদের হয়ে পরবর্তী বোমাটা ফাটালেন তাদের অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। চ্যাম্পিয়নের ট্রফিটা নিতে এসে পোডিয়ামে তিনি বলছিলেন, ‘‘বহুদিন পর ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে আজ ক্রিকেট উৎসব হচ্ছে। আমাদের কেউ পাত্তা দিতে চায়নি। কিন্তু কেউ জানত না আমাদের টিমে একাধিক ম্যাচ উইনার রয়েছে। নিজের অভিষেক বিশ্বকাপে যে ভাবে কার্লোস ব্রেথওয়েট পারফর্ম করে গেল, তা বাকিদের দেখিয়ে দিল ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের শক্তি।’’
একঠু থেমে বললেন, ‘‘মার্ক নিকোলাস আমাদের টিমকে বলেছিলেন কোও ব্রেন নেই। আজ আমাদের টিম বুঝিয়ে দিয়েছে টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিবিয়ানদের শক্তি ঠিক কী।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy