ঐতিহাসিক: চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে উডসের উল্লাস। রবিবার। এএফপি
দু’বছর আগেও জানতেন না আর কোনও দিন গল্ফ খেলতে পারবেন কিনা। পিঠ আর পায়ের চোটে এতটাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন, ভেবেছিলেন পেশাদার গল্ফ জীবন হয়তো শেষ। কিন্তু কে জানত, তাঁর হাত ধরেই খেলাধুলোর দুনিয়ায় সর্বকালের অন্যতম সেরা প্রত্যাবর্তন দেখবে বিশ্ব! এগারো বছর পরে গল্ফ কোর্সে ফের ফিরল তাঁর দাপট। রবিবার অগাস্টা মার্স্টার্সে খেলোয়াড় জীবনের পঞ্চম মাস্টার্স এবং ১৫ নম্বর মেজর জিতলেন তিনি— টাইগার উডস।
২০০৯ সালে ব্যক্তিগত জীবনে একের পরে এক ঝামেলায় জড়িয়ে যাওয়ার পর থেকে বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বরের খেলোয়াড়জীবনের লেখচিত্র ক্রমশ তলানিতে এসে ঠেকেছিল। সঙ্গে জুড়েছিল চোট-আঘাত, ব্যাথা নিরাময়কারী ওষুধের নেশা। যার প্রভাবে গাড়ি চালাতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ায় পুলিশ গ্রেফতার পর্যন্ত করেছিল টাইগারকে। সে সব অতীত পেরিয়ে ফের গল্ফ আকাশে টাইগারের উদয়। ৪৩ বছর বয়েসে দ্বিতীয় বয়স্কতম মাস্টার্স জয়ী হিসেবে। ১৯৮৬ সালে ৪৬ বছর বয়সি জ্যাক নিকোলাসের মেজর জয়ের পরে।
এক সময় উডসকেই ধরা হত জ্যাক নিকোলাসের ১৮ মেজরের রেকর্ড ভাঙার এক নম্বর দাবিদার। খেলোয়াড় জীবনের প্রথম ১১ বছরে ১৪টা মেজর জিতে ফেলেছেন তখন টাইগার। কিন্তু ২০০৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ওপেন জয়ের পর থেকে সেই ছবিটা ক্রমশ ঝাঁপসা হতে শুরু করেছিল। ১১ বছর পরে আবার সেই সম্ভাবনা উজ্জ্বল হল। স্বয়ং নিকোলাসও তাই বলেছেন, ‘‘টাইগারকে অনেক অভিনন্দন। আমি ওর জন্য, গল্ফ খেলাটার জন্য খুব খুশি। সত্যিই অসাধারণ লাগল।’’
শেষ শটটা নিয়েই মুষ্টিবদ্ধ হাতটা শূন্যে ছুড়ে দিয়ে গর্জন করে ওঠেন উডস। কে জানত গল্ফ কোর্সে ‘টাইগার গর্জন’ ফিরে আসবে এ ভাবে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy