Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

আইপিএলের জন্যই আজ ভারত এগিয়ে

ডেড রাবারগুলো বরাবর সবার জন্য খুব কঠিন হয়। যে প্লেয়াররা সেটা খেলতে নামে, তাদের পক্ষেও কঠিন হয়ে যায় নিজেদের মোটিভেট করা। তা হলে ডেড রাবার নিয়ে কী করা উচিত? উত্তর দেওয়া খুব কঠিন। সিরিজ শেষ হয়ে গিয়েছে বলে ম্যাচগুলো বাতিল করে দেওয়া যায় না। স্পনসররা টাকা দিয়ে বসে আছে। সমর্থকরা টিকিট কিনে ফেলেছে। টিভি কোম্পানিগুলোও প্রচুর খরচ করে ফেলেছে ওর পিছনে।

ওয়াসিম আক্রম
শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:৩৭
Share: Save:

ডেড রাবারগুলো বরাবর সবার জন্য খুব কঠিন হয়। যে প্লেয়াররা সেটা খেলতে নামে, তাদের পক্ষেও কঠিন হয়ে যায় নিজেদের মোটিভেট করা।

তা হলে ডেড রাবার নিয়ে কী করা উচিত? উত্তর দেওয়া খুব কঠিন। সিরিজ শেষ হয়ে গিয়েছে বলে ম্যাচগুলো বাতিল করে দেওয়া যায় না। স্পনসররা টাকা দিয়ে বসে আছে। সমর্থকরা টিকিট কিনে ফেলেছে। টিভি কোম্পানিগুলোও প্রচুর খরচ করে ফেলেছে ওর পিছনে।

পরিস্থিতি তাই বেশ জটিল, কারণ দিনের শেষে পেশাদারদের রুটি-রুজির ব্যাপারটাও ডেড রাবারের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে। ভেবে দেখুন, সিরিজ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও কিন্তু মাঠে ভিড় কমে না। স্টেডিয়াম পুরো ভর্তি থাকে। কিন্তু ম্যাচটায় আর সেই বারুদটা থাকে না। আমার মনে হয়, বিশ্বকাপ বা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির যোগ্যতা অর্জনের জন্য এ বার পয়েন্ট সিস্টেম চালু করা উচিত। যে পয়েন্ট টিমগুলোর দরকার পড়বে ওই টুর্নামেন্টগুলো খেলার ছাড়পত্র পেতে। তাতে প্রত্যেকটা ম্যাচ প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে, তার একটা মানেও দাঁড়াবে। এটাই একমাত্র উত্তর, যা এই মুহূর্তে আমার মাথায় আসছে।

ম্যাচে আসি। জো রুট আর জোস বাটলার ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-তে ৫৫-৬০ রান যোগ করে ম্যাচটা ভারতের থেকে নিয়ে চলে গেল। ভারতীয় বোলাররা আবার ওই সময় বেশি চেষ্টা করতে যাচ্ছিল, আর তাই প্রচুর রান গলানোটাও স্বাভাবিক। শামিকে আবার ছন্দে ফিরতে দেখে ভাল লাগছে। ইনশাল্লাহ্, শামি শেষ পর্যন্ত বুঝতে পারছে খাটনির গুরুত্ব কতটা। যে ভুলগুলো ও করছিল, সেগুলো থেকে শামি শিখেছে। ফলাফলও সবাই দেখতে পাচ্ছে। ভারতীয় টিমের সঙ্গে এখন এত টিভি চ্যানেল ঘোরে যে সামান্যতম ভুলভ্রান্তি করারও কারও উপায় নেই। কারণ, প্রত্যেকটা ভুলই শিরোনামে চলে আসবে। ভারতীয়দের তাই ভুল করার কোনও জায়গা থাকে না।

তবে শেষ ম্যাচ হারলেও ভারতকে আমি অভিনন্দন জানাব ওয়ান ডে সিরিজ জেতার জন্য। টেস্টে ও ভাবে হারার পর টিমটা যে ভাবে নিজেদের মোটিভেট করেছে, তাতে টিমটারই দৃঢ় চরিত্র প্রমাণিত হয়েছে। সিরিজটা এটাও বোঝাল যে, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভারত অন্যতম সেরা শক্তিগুলোর একটা। উমেশ যাদব একদম কানায় কানায় ভর্তি এক স্টেডিয়ামে নিজের কামব্যাক ঘটাল। নার্ভ এখানে একটা বড় ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। ক্রিকেটার হিসেবে আমাকে যেহেতু কামব্যাক কখনও ঘটাতে হয়নি, তাই বলতে পারব না মাইন্ডসেটটা কেমন থাকে। মনে হয়, ব্যাপারটা খুব কঠিন কারণ চাপটা অত্যন্ত বেশি থাকে। উমেশ তার পরেও একটা উইকেট নিয়েছে, যদিও ওর বোলিংকে ছন্নছাড়া দেখিয়েছে। তাতে চিন্তার কিছু নেই। একটা-দু’টো ম্যাচেই ও নিজের ফর্মে চলে আসবে।

রবিবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একমাত্র টি-টোয়েন্টি খেলতে নামবে ভারত। আমার মতে, আইপিএলের জন্য ভারতই ম্যাচে এগিয়ে। ভারতীয়দের ফিল্ডিং দুর্দান্ত। দ্রুত সিঙ্গলস নিতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা, টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা ভারতীয়দের অনেক বেশি ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের চেয়ে। ইংল্যান্ড এমনিই টি-টোয়েন্টি খুব কম খেলে আর ম্যাচটা সীমিত ওভারের যখন, ভারত এক ইঞ্চি হলেও এগিয়ে থাকবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE