তাঁর বাবা রামকিশন ভাকের এবং জাতীয় রাইফেল সংস্থার এক কর্তার তরফে জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় সিরিজের মাঝামাঝি মনুর বন্দুকে ইলেকট্রনিক ট্রিগারে সমস্যা দেখা দেয়। লিভার হয় খুলছিল না বা বন্ধ হচ্ছিল না।
উপায় না দেখে এক বিচারক এবং কোচের সঙ্গে তাঁবুতে ফিরে বন্দুক বদলান। সেটি পরীক্ষা করার পর শুটিং রেঞ্জে ফিরে আসেন। ততক্ষণে সময় নষ্ট হয়েছে। তার থেকেও বড় ব্যাপার, মনোসংযোগে বিরাট ছেদ পড়েছে, যা শুটিংয়ের মতো ইভেন্টে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথম সিরিজের শেষে পঞ্চম স্থানে ছিলেন মনু। দ্বিতীয় সিরিজে অষ্টম স্থানে শেষ করেন। এরপর ধীরে ধীরে পিছোতে থাকেন। ছ’টি সিরিজ শেষে ১২তম স্থানে শেষ করেন। প্রথম আটজন যোগ্যতা অর্জন করেছেন। শেষের জনের থেকে মনুর পয়েন্টের ব্যবধান মাত্র দুই।
মনুর পাশে দাঁড়িয়েছেন শুটার হিনা সিধু। টুইট করেছেন, ‘যাঁরা বলছেন ও চাপে পড়ে খারাপ খেলেছে তাঁদের বলছি, ও চাপে পড়ে আরও ভাল খেলেছে। বন্দুকের সমস্যার জন্য অনেকটা সময় নষ্ট হয়েছে ওর। ৩৪ মিনিটে ৫৭৫ স্কোর করা সাধারণ ব্যাপার নয়। শেষ শট পর্যন্ত লড়েছে।’
মনুর পারফরম্যান্স বাদ দেওয়া গেলেও, বাকি শুটারদের ব্যর্থতা ঢাকা যাচ্ছে না। পুরুষদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে দীপক কুমার বা দিব্যাংশ সিংহ পানওয়ার কেউই ফাইনালে উঠতে পারেননি। যে খেলা থেকে সব থেকে বেশি পদকের আশা করা হয়েছিল, সেখান থেকেই আসছে একের পর এক হতাশা।