মণিকা বাত্রা ও সৌম্যদীপ রায় ছবি - টুইটার
চলতি টোকিয়ো অলিম্পিক্সে ভারতীয় টেবিল টেনিস দলকে ঘিরে তৈরি হল বিতর্ক। মণিকা বাত্রা সিঙ্গলসে তাঁর প্রতিপক্ষ গ্রেট ব্রিটেনের টিন টিন হো-কে ৪-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিলেও জাতীয় দলের মুখ্য প্রশিক্ষক সৌম্যদীপ রায়ের পরামর্শ নেননি। তাঁর বিরুদ্ধে এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। তবে মণিকার বিরুদ্ধে এখনই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে না ভারতীয় টেবিল টেনিস সংস্থা।
সেই ম্যাচে স্বভাবতই প্রশিক্ষকের আসন ফাঁকা ছিল। তবে এই বিষয়ে দলের ম্যানেজার ও জাতীয় টেবিল টেনিস সংস্থার পরামর্শদাতা এম পি সিংহ মন্তব্য করলেও, মণিকা ও সৌম্যদীপ দুজনেই মুখে কুলুপ এঁটেছেন।
এম পি সিংহ বলেন, “মণিকা ওর ব্যক্তিগত কোচ সন্ময় পরাঞ্জপের জন্য বিশেষ কার্ড চেয়েছিল, যাতে ম্যাচের সময় ওর সঙ্গে থাকতে পারে। কিন্তু সেটা সম্ভব নয়। কারণ অলিম্পিক্স আয়োজকরা এই আবেদন মেনে নেয়নি।”
কিন্তু কেন এমন কান্ড ঘটালেন মণিকা? মণিকার সঙ্গে সন্ময় টোকিয়ো এসেছেন। বরাবরের মতো তিনি মণিকার অনুশীলনে থাকেন। তবে জাতীয় দলের কর্তারা সেটা ভাল চোখে দেখছেন না। তাই ম্যাচ চলার সময় কর্তাদের নির্দেশে মণিকার ব্যক্তিগত প্রশিক্ষককে হোটেলের ঘরে থাকতে হচ্ছে। সেই জন্যই নাকি ক্ষোভ প্রকাশ করে এমন কান্ড ঘটিয়েছেন ২৬ বছরের মণিকা।
এম পি সিংহ আরও বলেন, “সৌম্যদীপ রায়ের পরামর্শ না নেওয়ার ব্যাপারটা আমার নজরেও এসেছে। আমার সামনেই ঘটনাটা ঘটেছিল। এই বিতর্ক যাতে না বাড়ে সেই জন্য কথা বলার চেষ্টা করেছিলাম। তবে মণিকা ওর ব্যক্তিগত কোচ ছাড়া অন্য কারও পরামর্শ নিতে রাজি নয়। তবে প্রতিযোগিতা চলছে বলে আমরা এখনই মণিকার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছি না।”
এ দিকে মণিকার সিঙ্গলস ম্যাচে সৌম্যদীপকে দেখা না গেলেও, মণিকা ও শরথ কমল মিক্সড ডাবলস খেলার সময় প্রশিক্ষকের আসনে ছিলেন সৌম্যদীপ। এখন এই বিতর্কের জল কতদূর গড়ায় সেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy