ইউরোয় আমার বাজি ছিল জার্মানি। সেই টিমটাকে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে আত্মহত্যা করতে দেখা আমার পক্ষে মোটেই সহজ হয়নি।
ফাইনালে পর্তুগাল কিন্তু একেবারে অন্য ধাঁচের প্রতিদ্বন্দ্বী হবে ফ্রান্সের সামনে। একগুঁয়ে, প্রধানত ডিফেন্সিভ স্টাইল। যা দর্শকের উপভোগ্য না হলেও প্রতিপক্ষকে তিতিবিরক্ত করে তোলার সেরা কৌশল। যে বিরক্তি আর হতাশা থেকে প্রতিপক্ষ একটা সময় ভুল করে বসতে বাধ্য। এর সঙ্গে পর্তুগালের আছে একটা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।
টুর্নামেন্টের সেরা স্ট্রাইকার আমি এখনই রোনাল্ডোকে বাছব। ওর জাত-ই আলাদা। একের পর এক ম্যাচে দলকে টেনেছে। ওয়েলসের বিরুদ্ধে অসাধারণ একটা হেডে গোল করে টিমকে ফাইনালে তুলেছে। তাই ঘরের মাঠে দারুণ ফর্মে থাকা ফ্রান্স ফাইনালে যতই ফেভারিট হোক, আমি অন্তত ট্রফির উপর পর্তুগালের দাবি উড়িয়ে দিতে পারছি না। রোনাল্ডো একাই ভেস্তে দিতে পারে ফরাসি উৎসব। রোনাল্ডোর সতীর্থ রেনাতো স্যাঞ্চেজও গোটা টুর্নামেন্টে খুব ভাল।
আমার মতে ফাইনালে ওপেন ফুটবল দেখা যাবে। জিরু-গ্রিজম্যান জুটির তালমিল আজ কেমন হয় দেখতে আমি খুব আগ্রহী। গ্রিজম্যান হল চোরাশিকারী। গোলের সামনে অসম্ভব সুযোগসন্ধানী। পাঁচ ফুট সাত ইঞ্চির গ্রিজম্যানের সঙ্গে ছ’ফুট তিন ইঞ্চির জিরুর ক্লাসিক বেঁটে-লম্বা-জুটি দারুণ জমছে। ফ্রান্সের অন্য যে প্লেয়ার অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, সে ওদের গোলকিপার তথা ক্যাপ্টেন হুগো লরিস। ও-ই টুর্নামেন্টের সেরা গোলকিপার। জার্মানি ম্যাচে লরিসের কয়েকটা দুর্দান্ত সেভও কিন্তু ফ্রান্সকে খেতাবের লড়াইয়ে রেখেছে।
ফাইনালে গ্যালারির সমর্থন প্রায় একশো ভাগ থাকবে ফ্রান্সের জন্য। যা পর্তুগালের উপর বাড়তি চাপ তৈরি করবেই। তবে টিমটা জিততে মরিয়া। কারণ ফাইনালের আন্ডারডগ হিসেবে পর্তুগালের নতুন করে হারানোর কিছু নেই।
বড় ফাইনাল নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করার জন্য আমি এখন বড্ড বুড়ো আর অভিজ্ঞ। তবু মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে যদি জানতে চান তো বলব ম্যাচটা ফ্রান্সের দিকে ঝুঁকে ২-১।
অবশ্য এটাও মাথায় থাকছে যে, ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য রোনাল্ডোর জন্য গোটাদুয়েক সুযোগই যথেষ্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy