Advertisement
E-Paper

স্বার্থ সংঘাতের প্রশ্নে উত্তাল সিএবি, নতুন দুই নির্বাচককে জবাব দিতে বলা হল

কাঠগড়ায় দাঁড়ানো দুই নির্বাচক কারা, তা-ও আর গোপন থাকছে না। সিনিয়র নির্বাচক কমিটিতে এ বার নেওয়া হয়েছে বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার পলাশ নন্দীকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৮ ০৪:২৫
ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

এ বার সিএবি-তেও স্বার্থ সংঘাতের প্রশ্নকে ঘিরে জলঘোলা হতে শুরু করল। বাংলার এ বারের নতুন নির্বাচক কমিটি গঠন হওয়া মাত্রই তা নিয়ে নানা কথা উঠেছে। এ বার আসরে নামতে হল ওম্বাড্‌সমানকেও। সিএবি সূত্রের খবর, তাঁর হাতে আসা একটি অভিযোগের ভিত্তিতে নব নির্বাচিত দু’জন নির্বাচককে শো-কজ করেছেন সিএবি ওম্বাড্‌সমান ঊষানাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্রুতই হয়তো দুই নির্বাচককে জবাবদিহি করতে হবে।

কাঠগড়ায় দাঁড়ানো দুই নির্বাচক কারা, তা-ও আর গোপন থাকছে না। সিনিয়র নির্বাচক কমিটিতে এ বার নেওয়া হয়েছে বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার পলাশ নন্দীকে। কিন্তু তিনি কোচিং ক্যাম্পের সঙ্গে যুক্ত বলে খবর রয়েছে। সেই ক্যাম্পের সঙ্গে তিনি এখনও যোগাযোগ রেখেছেন বলেই শোনা যাচ্ছে। নির্বাচক হওয়ার শর্তাবলির মধ্যে আবার রয়েছে, কোনও কোচিং ক্যাম্পের সঙ্গে যুক্ত থাকা যাবে না। পলাশবাবু যদি কোচিং ক্যাম্পের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাঁকে একটা ভূমিকা ছাড়তে হতে পারে। দু’টো কাজ একই সঙ্গে করলে স্বার্থ সংঘাতের আওতায় পড়বেন। প্রসঙ্গত, এই স্বার্থ সংঘাতের প্রশ্নেই সব চেয়ে বেশি কড়া পদক্ষেপ করার কথা বলেছিল আর এম লোঢা কমিটি। স্বার্থ সংঘাতের প্রশ্নেই বোর্ড প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরে যেতে হয়েছিল
এন শ্রীনিবাসনকে।

লোঢা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, প্রত্যেকটি সংস্থাকেই এখন ওম্বাড্‌সমান রাখতে হচ্ছে। তাঁর কাজ, এই ধরনের অভিযোগ জমা পড়লে তা খতিয়ে দেখা। ওম্বাড্‌সমানের ই-মেলে যে কেউ অভিযোগ জানাতে পারেন। নাম প্রকাশ না করেও ই-মেল করা যায়। এ দিন ঊষানাথবাবুকে অনেক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও পাওয়া যায়নি।

তবে সিএবি-র বিশ্বস্ত সূত্র আনন্দবাজারকে নিশ্চিত ভাবেই জানিয়েছে যে, দু’জন নির্বাচককে শো-কজ করা হয়েছে। পলাশ নন্দী ছাড়া অন্য যে নির্বাচককে ওম্বাড্‌সমান তলব করছেন, তিনি মদন ঘোষ। সিনিয়র নির্বাচক কমিটিতে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেই রাতারাতি যাঁকে জুনিয়র নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান করে দেওয়া হয়েছে। সাধারণত, জুনিয়রের কোনও পদ থেকে সিনিয়রে উন্নীত করা হয়, সিএবি কর্তারা উল্টোটা করে বসেছেন।

মদনবাবুকে নিয়ে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি কোচিং ক্যাম্পের সঙ্গে যুক্ত থাকার পাশাপাশি হোয়াইট বর্ডার ক্লাবের প্রতিনিধি হিসেবে সিএবি-র সভায় এসেছেন। এখানেও স্বার্থ সংঘাতের ঘটনা স্পষ্ট কারণ নির্বাচক কখনওই কোনও ক্লাব বা অনুমোদিত সংস্থার প্রতিনিধি হতে পারেন না। শোনা যাচ্ছে, দুই নির্বাচককেই তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাব দিতে বলা হয়েছে। নতুন নির্বাচকদের কয়েক জনকে নিয়ে যে গুরুতর প্রশ্ন রয়েছে, সেই খবর নতুন কমিটি গঠনের পরেই প্রকাশ করেছিল আনন্দবাজার।

প্রথা অনুযায়ী, শুধু জবাবদিহি করলেই হয় না, এমন স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ উঠলে যে কোনও একটি দায়িত্ব থেকে সরে গিয়ে তার সপক্ষে উপযুক্ত প্রমাণপত্রও দাখিল করতে হয় সংস্থার কাছে। সেই প্রমাণপত্র দুই নির্বাচক জমা দেন কি না, সেটাও দেখার দায়িত্ব ওম্বাড্‌সমানের।

Cricket সিএবি- CAB Cricket Association Of Bengal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy