Advertisement
১১ মে ২০২৪

খালিদের টিমে যোগ দিচ্ছেন আর এক খালিদ

এক দিকে খালিদ জামিলের টিমে অন্য এক খালিদ—অর্থাৎ উগান্ডার ডিফেন্সিভ মিডিও খালিদ এচো যোগ দিচ্ছেন ছয় নম্বর বিদেশি হিসাবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৪:২১
Share: Save:

খেতাব জয়ের সোনালি রেখার সন্ধান পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মাঠে এবং মাঠের বাইরে যুদ্ধের তাপ আরও বাড়াতে শুরু করলেন লাল-হলুদ কর্তারা।

এক দিকে খালিদ জামিলের টিমে অন্য এক খালিদ—অর্থাৎ উগান্ডার ডিফেন্সিভ মিডিও খালিদ এচো যোগ দিচ্ছেন ছয় নম্বর বিদেশি হিসাবে। সার্বিয়ার প্রথম ডিভিশনের ক্লাব ওএফকে বিয়োগ্রেডে গত বছর খেলেছেন এই খালিদ। তাঁকে আই লিগের শেষ তিনটি ম্যাচ খেলানোর চেষ্টা হচ্ছে। দলের সঙ্গে নতুন বিদেশি সংযুক্তির পাশাপাশি মাঠের বাইরেও চাপ সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। মিনার্ভা পঞ্জাব ম্যাচের ‘বিশ্রী রেফারিং’ নিয়ে সরব হলেন তাঁরা। এ দিন ফের ফেডারেশনকে চিঠি পাঠানো হল, পরের বাকি চারটি ম্যাচে ভাল রেফারিং চেয়ে। তাতে লেখা হল, ‘‘যে আশঙ্কা করে আমরা বিদেশি রেফারির দাবি তুলেছিলাম, সেটা সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। মিনার্ভা ম্যাচে দু’টো পেনাল্টি থেকে আমরা বঞ্চিত হয়েছি। এটা যাতে না হয়, তা দেখুক ফেডারেশন।’’ যে চিঠি পেয়ে ফেডারেশন সচিব কুশল দাস দিল্লি থেকে বলে দিলেন, ‘‘দুটো লিগ পাশাপাশি হওয়ায় ভাল রেফারি পেতে সমস্যা হচ্ছে। বিদেশি রেফারি আনা সম্ভব নয়। তবে চেষ্টা চলছে যাতে গ্রেড ওয়ান রেফারি দিয়ে বাকি ম্যাচ খেলানো যায়।’’

যা পরিস্থিতি, তাতে এখন আই লিগের খেতাবযুদ্ধ ত্রিমুখী লড়াইতে আটকে। নেরোকা বুধবার জিতে যাওয়ায় মিনার্ভা পঞ্জাব এবং ইস্টবেঙ্গলের উপর চাপ বেড়েছে। লিগ জেতার ব্যাপারটা ঘিরে নানা জটিল অঙ্ক রয়েছে। সে দিকে অবশ্য তাকাতে চাইছেন না আল আমনা বা কেভিন লোবোরা। নেরোকা-চার্চিল ব্রাদার্স ম্যাচের খবর রাস্তাতেই রাখছিলেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। ফল শুনে খালিদ দিল্লি বিমানবন্দরেই বলে দেন, ‘‘খেতাবের কথা ভেবে লাভ নেই। ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে হবে।’’

পঞ্চকুল্লায় দুর্দান্ত শটে গোল করে যিনি ইস্টবেঙ্গলকে জিতিয়েছেন, সেই লোবো রাতে মুম্বইয়ে বিমানে বসে বলে দিলেন, ‘‘এখন আমাদের চারটে ম্যাচই ফাইনাল। গোকুলমকে না হারাতে পারলে মিনার্ভা ম্যাচ জেতার কোনও মূল্য থাকবে না।’’ পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, ‘‘চোটের জন্য অনেক দিন খেলতে পারিনি। টিমের ফিজিও গার্সিয়া যে ভাবে আমাকে সুস্থ করে তুলেছেন, তাতে আমি কৃতজ্ঞ।’’ আর আল আমনার মন্তব্য, ‘‘মিনার্ভা ম্যাচের মতো খেলতে হবে সব ম্যাচই। তা হলেই তিন পয়েন্ট পাওয়া সম্ভব। মাঠে আমাদের সব কিছু দিয়ে লড়তে হবে।’’

শনিবারই গোকুলমের বিরুদ্ধে ম্যাচ কোজিকোড়ে। এ দিন সেই ম্যাচ খেলতে চণ্ডীগড় থেকে কেরল পৌঁছল খালিদ জামিলের টিম। লাগল প্রায় ১৫ ঘণ্টা। চণ্ডীগড় বিমানবন্দর বন্ধ। তাই বাসে করে পঞ্চকুল্লা থেকে দিল্লি পৌঁছতে হল ইউসা কাতসুমিদের। চণ্ডীগড়ের টিম হোটেল থেকে দিল্লি পৌঁছতে লাগল প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা। সেখান থেকে বিমান ধরে কোজিকোড়ের হোটেলে ডুডু ওমাগবেমি, অর্ণব মণ্ডলরা পৌঁছলেন রাত এগারোটায়। টিমের ম্যানেজার মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য বিরক্ত হয়ে ফোনে বলছিলেন, ‘‘সারা দিনটাই চলে গেল বাসে-বিমানে। কিছুই করা গেল না।’’

আঠারো বছর আগে ইস্টবেঙ্গলকে কোচিং করিয়ে প্রথম আই লিগ জিতিয়েছিলেন মনোরঞ্জন। তিনি দলের সঙ্গে ফের যুক্ত হওয়ায় খালিদের টিমের দমবন্ধ ভাবটা অনেকটাই কেটে গিয়েছে। মনোরঞ্জন অবশ্য নিজেকে সামনে আনতে রাজি নন। মানতেও চান না। বলে দিলেন, ‘‘আমাদের সময়ের সঙ্গে এখনকার ছেলেদের অনেক তফাত। আমাদের সময় অনেক বেশি ম্যাচ খেলতাম। ক্লান্তির কথা বলতাম না। আমি তেমন কিছু করছি না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE