Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

ইডেনে বাংলার হোম ম্যাচ নিয়ে সংশয়

বাংলার রঞ্জি ম্যাচ ইডেনে না হওয়ার কারণ নভেম্বরে ভারত-শ্রীলঙ্কা টেস্ট ম্যাচ। বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী, টেস্টের আগে অন্তত ১৫ দিন সেই মাঠে কোনও ম্যাচ করা যায় না। ফলে বাংলার হোম ম্যাচ ইডেন থেকে সরিয়ে কল্যাণী বা সল্টলেকের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছে সিএবি।

ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:৪৭
Share: Save:

রঞ্জি ট্রফিতে এ বার হোম ম্যাচ ফিরে এলেও বাংলার আসল ‘হোম’ ইডেন গার্ডেন্সে এ বার তাদের ম্যাচ হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

বাংলার রঞ্জি ম্যাচ ইডেনে না হওয়ার কারণ নভেম্বরে ভারত-শ্রীলঙ্কা টেস্ট ম্যাচ। বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী, টেস্টের আগে অন্তত ১৫ দিন সেই মাঠে কোনও ম্যাচ করা যায় না। ফলে বাংলার হোম ম্যাচ ইডেন থেকে সরিয়ে কল্যাণী বা সল্টলেকের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছে সিএবি। মেরেকেটে একটা হোম ম্যাচ ইডেনে হতে পারে। সেটা টেস্টের পরে।

বোর্ড দেশের মাঠে আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটের যে প্রাথমিক সূচি তৈরি করেছে, তাতে ইডেনে ভারত-শ্রীলঙ্কা টেস্ট হওয়ার কথা ১৬ নভেম্বর থেকে। আর বাংলার প্রথম দু’টি হোম ম্যাচ ১ ও ৯ নভেম্বর থেকে। ইডেন কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায় এই ব্যাপারে জানান, ‘‘১৬ তারিখ থেকে টেস্ট হলে ইডেনে এ বার বাংলার ক’টা হোম ম্যাচ করা যাবে, সেটাই বোঝা যাচ্ছে না। কল্যাণীতে বা সল্টলেকে করতে হবে।’’ যদিও যুগ্মসচিব অভিষেক ডালমিয়া বলেন, ‘‘বোর্ডের কাছ থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে নভেম্বরে শুরুতে একটা হোম ম্যাচ করা যেতে পারে হয়তো। কিন্তু সেই ঝুঁকি নেওয়া হবে কি না, দেখা যাক।’’

আরও পড়ুন

মেয়েরা মাঠে এলেও দর্শক-স্বাচ্ছন্দ্য কোথায়

ইডেনে এ বারও উইকেটে বাউন্স ও ক্যারি থাকবে বলে মনে করেন সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার মাঠে নেমে উইকেট দেখেন তিনি। উইকেট দেখার পরে তাঁর মন্তব্য, ‘‘ইডেনের উইকেট গত বার যেমন ছিল, অনেকটা তেমনই হবে। পেসাররা সাহায্য পাবে, আবার ব্যাটসম্যানরা স্ট্রোক নিতে পারবে। পিচের চরিত্র বদলের তেমন সম্ভাবনা নেই।’’ কল্যাণী বা সল্টলেকে এমন উইকেটের সম্ভাবনা কম। তাই ইডেনে ম্যাচ হলে বাংলারই ভাল। মনোজদের ব্যাটিং ও পেস বিভাগ এ বার ভাল।

এর আগেও অবশ্য অন্য দুই মাঠে বাংলার ম্যাচ হয়েছে। তবে ইডেনের মতো আউটফিল্ড বা অন্যান্য সুবিধা সেই মাঠগুলোতে নেই। তাই এই খবর শুনে কিছুটা হতাশ বাংলার কোচ, ক্যাপ্টেন দুজনেই। ক্যাপ্টেন মনোজ তিওয়ারি বলেন, ‘‘সব ধরনের মাঠেই খেলতে হবে, এমন মানসিকতা নিয়েই নিজেদের প্রস্তুত করি আমরা। এ বারেও সে ভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে ইডেনে নেমে যে তৃপ্তি পাই, অন্য মাঠে তা পাই না।’’ কোচ সাইরাজ বাহুতুলেও প্রায় একই কথা বলছেন। তবে কল্যাণীর মাঠ ও পরিবেশ তাঁর বেশ পছন্দ। তাই ওখানে দু’টো ম্যাচ হলে তাঁর আপত্তি নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE