অনুশীলনে জার্মানি ও মেক্সিকো।
কনফেডারেশন কাপের প্রথম সেমিফাইনাল জিতে ইতিমধ্যেই ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে চিলে। এ বার লড়াই জার্মানি বনাম মেক্সিকোর। গ্রুপ ‘বি’র শীর্ষে শেষ করে সেমিফাইনালে উঠেছে জার্মানি। অন্য দিকে, মেক্সিকো গ্রুপ ‘এ’ থেকে দ্বিতীয় হয়ে উঠে জার্মানির মুখোমুখি। জার্মানি তিন ম্যাচের মধ্যে দুটোতে জিতেছে একটিতে ড্র করেছে। প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ৩-২এ জয়ের পরের ম্যাচেই চিলের কাছে ১-১ গোলে আটকে যেতে হয়েছিল। কিন্তু শেষ ম্যাচে ক্যামেরুনকে ৩-১ গোলে হারিয়ে গ্রুপের শীর্ষে থেকেই শেষ করেছে জার্মানি। সেখানে মেক্সিকো প্রথম ম্যাচে পর্তুগালের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র দিয়ে শুরু করেছিল। পরের ম্যাচেই অবশ্য নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২-১ গোলে জয়ে ফেরেন চিচারিতোরা। শেষ ম্যাচে রাশিয়াকে ১-২ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালের রাস্তা পাঁকা করে নিয়েছে মেক্সিকো।
আরও খবর: ব্রাভোর হাতে শেষ পর্তুগাল, টাইব্রেকারে জিতে ফাইনালে চিলে
জার্মানি দলের অনেক বড় নামই ইতিমধ্যে অবসর নিয়েছেন। এসেছেন নতুন মুখ। এই জার্মান দলে সব থেকে বেশি নজর কেড়েছেন ২১ বছরের তিমো ওয়ের্নার। তিন ম্যাচে দু’গোল। ক্যামেরুনের বিরুদ্ধেই জোড়া গোল করে নজর কেড়ে নিয়েছিলেন তিনি। ফাইনালে প্রতিপক্ষের রক্ষণের নজরে থাকবেন তিনি। তিনিই প্রথম জার্মান প্লেয়ার যাঁর পা থেকে কনফেড কাপে এল জোড়া গোল।
অন্য দিকে, মেক্সিকো দলে যাঁকে ঘিরে সব থেকে বেশি ভাবনা-চিন্তা, তিনি অবশ্য তেমনভাবে এ যাত্রায় নিজেকে প্রমাণ করে উঠতে পারেননি। পর্তুগালের বিরুদ্ধে ২-২ ড্রয়ের ম্যাচে তাঁর পা থেকে এসেছে একমাত্র গোল। হয়তো ফাইনালের জন্য তুলে রেখেছেন বাকিটা। লড়াইটা যদি হয় হার্নান্ডেজ বনাম ওয়ের্নারের তা হলে অভিজ্ঞতার দিক থেকে এগিয়ে থাকবে মেক্সিকোই। সেখানে অনেকটাই পিছিয়ে জার্মানি।
তবে লিগ পর্বের ম্যাচের পরে দু’পক্ষেরই শক্তি, দুর্বলতাগুলো সামনে চলে এসেছে। বিশেষ করে আন্ডারডগ মেক্সিকোর টার্গেট থাকবে জার্মানির দুর্বল রক্ষণ। ১০ জনের ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে এক গোল হজম করতে হয়েছে। চিলির বিরুদ্ধে এক গোল হজম। প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জয়ের ম্যাচেও দু’গোল হজম করতে হয়েছে জার্মানিকে। যার ফলে রক্ষণের ফাঁকফোকরগুলো বেরিয়ে এসেছে। সেটাকেই কাজে লাগাতে চাইবে মেক্সিকোর ফরোয়ার্ড লাইন। সেদিক থেকে দেখতে গেলে জার্মানির অস্ত্র মিরোস্লাভ ক্লোজের জায়গায় দলে জায়গা করে নেওয়া আনকোড়া ওয়ের্নার।
এই টুর্নামেন্টে মেক্সিকোই একমাত্র দল যারা অতীতে কনফেড কাপ জিতেছে। ১৯৯৯ এ ব্রাজিলকে হারিয়ে দেশের মাটিতেই এই ট্রফি জিতেছিল তারা। আবারও সেমিফাইনালে মেক্সিকো। ফাইনালের লক্ষ্যেই নামবে এটাই স্বাভাবিক। জার্মানিকে হারিয়ে দিতে পারলে ট্রফির লক্ষ্যে লড়াই থাকবে চিলের বিরুদ্ধে। সে ভাবেই কোমর বাঁধছে দু’পক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy