Advertisement
২৪ মে ২০২৪

গোলের সেঞ্চুরিতে অপ্রতিরোধ্য মেসি, শেষ আটে বার্সা

বুধবার রাতে যখন ইনিয়েস্তা-রা ঘরের মাঠে চেলসির বিরুদ্ধে ৩-০ (দুই পর্ব মিলিয়ে ৪-১) জিতে ফিরছে, তখন দুই পর্ব মিলিয়ে মেসির নামের পাশে তিনটি গোল।

নায়ক: তিন গোলের দু’টি মেসির। অন্যটি করালেন দেম্বেলে-কে দিয়ে। দুই গোলদাতার উচ্ছ্বাস। ছবি: গেটি ইমেজেস

নায়ক: তিন গোলের দু’টি মেসির। অন্যটি করালেন দেম্বেলে-কে দিয়ে। দুই গোলদাতার উচ্ছ্বাস। ছবি: গেটি ইমেজেস

দীপেন্দু বিশ্বাস
শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৮ ০৪:১০
Share: Save:

ম্যাচটা লিখতে বসে ক্রিকেটের একটা তথ্য মাথায় আসছে। চুরানব্বই সালের আগে একদিনের ক্রিকেটে কোনও শতরান ছিল না সচিন তেন্ডুলকরের। বিষয়টা নিয়ে তখন নানা বিশ্লেষণ হতো প্রচারমাধ্যমে। কিন্তু চুরানব্বই সালে সিঙ্গার কাপে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম শতরানটা পাওয়ার পরে একদিনের ক্রিকেটে একের পর এক শতরান করে গিয়েছেন সচিন।

ঠিক তেমনই এ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নক-আউট পর্বে চেলসির সামনে বার্সেলোনা পড়তেই বিশ্বজুড়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছিল, চেলসির বিরুদ্ধে মেসির কোনও গোল নেই। এতে নাকি বার্সেলোনার উপর চাপ বাড়বে।

বুধবার রাতে যখন ইনিয়েস্তা-রা ঘরের মাঠে চেলসির বিরুদ্ধে ৩-০ (দুই পর্ব মিলিয়ে ৪-১) জিতে ফিরছে, তখন দুই পর্ব মিলিয়ে মেসির নামের পাশে তিনটি গোল। আর দেম্বেলে-কে দিয়ে মেসি করাল একটি গোল। দুই পর্ব মিলিয়ে ১৮০ মিনিট খেলে তিন গোল করে বেরিয়ে এল ‘এলাম, দেখলাম, জয় করলাম’ মেজাজে। যে মেসি এক সময় চেলসির সামনে পড়লেই গোল পেত না, সেই মেসি ম্যাজিকের কাছেই হেরে এ বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শেষ হয়ে গেল চেলসি-র। ঐশ্বরিক পারফরম্যান্স!

স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে এই ম্যাচটার প্রথম পর্বে বার্সেলোনা যখন মেসির গোলে ১-১ করে ফিরেছিল, তখনই আনন্দবাজার-এ লিখেছিলাম, ঘরের মাঠে বার্সেলোনাকে আটকানো আরও কঠিন হবে এই চেলসির পক্ষে। এক বছর আগেই কাম্প ন্যু-তে ম্যাচ দেখে এসেছি বার্সেলোনার। তাই জানতাম, মাঠে মেসি, সুয়ারেস-দের সঙ্গে গ্যালারির শব্দব্রহ্মও দ্বাদশ ব্যক্তি হয়ে লড়বে উইলিয়ান-দের বিরুদ্ধে। ম্যাচেও ঠিক তাই হতে দেখলাম।

শুরুতেই তিন মিনিটের মধ্যে মেসি যে ভাবে সুয়ারেস ও দেম্বেলের সঙ্গে ওয়াল খেলে চেলসি গোলকিপার কুর্তোয়ার দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে গোল করে গেল, তা অনবদ্য। ও ঠিক দেখে নিয়েছিল চেলসির লেফট উইঙ্গার মার্কোস আলোন্সো জায়গায় নেই। তাই চেলসি বক্সে ঢুকে যেতে পারবে অক্লেশে। বক্সের মধ্যে ঢুকে দেখে নিয়েছিল চেলসি গোলকিপার কুর্তোয়ার দু’পায়ের মাঝে ফাঁক। সেখান দিয়েই বল পাঠিয়ে দিল জালে। বুঝেছিল, সাড়ে ছ’ফুটের কুর্তোয়া গোলের কোণ ছোট করলেও পা দিয়ে বল আটকাতে পারবে না।

তার পরে বার্সার দ্বিতীয় গোলের সময়ও যেভাবে মাঝমাঠ থেকে বিপক্ষের দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বলটা অরক্ষিত দেম্বেলে-কে বাড়াল, সেটাও অ্যাকাডেমির শিক্ষার্থী ফরোয়ার্ড বা মিডফিল্ডারের কাছে বার বার দেখে শেখার মতো। আর নিজের দ্বিতীয় ও চেলসির তৃতীয় গোলের সময় বিপক্ষ ডিফেন্ডারদের নজর এড়িয়ে চুপিচুপি উঠে এসে গোলটা করে গেল।

আরও পড়ুন: পরাজিত কন্তের ঘোষণা, মেসিই বিশ্বসেরা

এডেন অ্যাজার, উইলিয়ান-দের মধ্যে একটা প্রচেষ্টা ছিল ম্যাচে ফেরার। কিন্তু ভাগ্য খারাপ থাকায় মার্কোস আলোন্সো-র ফ্রিকিক পোস্টে লেগে ফিরল। দ্বিতীয়ার্ধে রুডিগারের হেড বারে লাগল। জেরার পিকে যে ভাবে আলোন্সো-কে দ্বিতীয়ার্ধে বক্সের মধ্যে ধাক্কা দিল তাতে রেফারি পেনাল্টি দিতেই পারতেন। কিন্তু ততক্ষণে বার্সেলোনার কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়া নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE