আত্মবিশ্বাসী: বিশ্ব মিটের প্রস্তুতিতে ডুবে বোল্ট। ছবি: গেটি ইমেজেস
চিরজীবনের মতো ট্র্যাক থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার আগে আর একবার দেখা যাবে তাঁকে। লন্ডনের বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স মিটে। আজ, শুক্রবার থেকে যা শুরু হচ্ছে লন্ডনে। এবং প্রথম দিনেই দেখা যাবে বিশ্বের দ্রুততম মানুষকে। একশো মিটার হিটে।
এই মরসুমে সে রকম ফর্মে না থাকলেও বোল্টের বিরুদ্ধে বাজি ধরার মতো সাহসী লোক পাওয়া কঠিন। ‘‘আমি যখন একটা টুর্নামেন্টে নামছি, তখন বুঝে নেবেন যে আমি তৈরি,’’ বলছেন বোল্ট, ‘‘আমার কোচ (গ্লেন মিলস) আমাকে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। আমিও। নিজের ওপর একশো ভাগ আস্থা আছে যে সেরা হব।’’
জীবনের শেষ লড়াইয়ে নামার আগে তাঁকে শুনতে হয়েছে, বোল্ট নাকি ‘আন্ডারডগ’। আর এখন টুর্নামেন্টে নামার আগে সেই বোল্ট হুঙ্কার দিচ্ছেন, ‘‘আমি সবাইকে একটা জিনিসই বুঝিয়ে দিতে চাই। আমি অপরাজেয়, আমি অপ্রতিরোধ্য।’’
আরও পড়ুন: কলম্বোয় অভিনব গুগলি আনার চেষ্টায় অশ্বিন
জীবনের শেষ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে বোল্টকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারেন ইয়োহান ব্লেক, ক্রিশ্চিয়ান কোলম্যান, আকানি সিমবাইনরা। তবে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বোল্ট বলে দিচ্ছেন, ‘‘আমি সব সময় প্রতিযোগিতা চাই। যত বেশি প্রতিযোগিতার মুখে পড়ব, তত নিজেকে মেলে ধরতে পারব। আমি চাই, লোকে আরও জোরে দৌড়ক। আমাকে আরও চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলুক। যাতে আমি নিজেকে আরও জোরে দৌড়নোর জন্য ঠেলতে পারি।’’
বিদ্যুৎ বোল্ট
অলিম্পিক্স সোনা: ৮
বিশ্ব চ্যাম্পিয়শিপে সোনা: ১১
বিশ্বরেকর্ড: ১০০ মিটার (৯.৫৮ সেকেন্ড)
২০০ মিটার (১৯.১৯ সেকেন্ড)
সর্বোচ্চ গতি: ৪৪.৭২ কিমি প্রতি ঘণ্টা
স্টেপ: ১০০ মিটারে ৪১টি
এ বছরের সেরা সময়: ৯.৯৫ (জুলাইয়ে মোনাকোয় করেন)
বোল্টের প্রতিদ্বন্দ্বী: ক্রিশ্চিয়ান কোলম্যান (৯.৮২, জুনে)
ইয়োহান ব্লেক (৯.৯০)
আকানি সিমবাইন (৯.৯২)
তাঁর গায়ে যে ‘আন্ডারডগ’ তকমা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেটা ভালই জানেন বোল্ট। বলছেন, ‘‘আমি শুনেছি, কোনও কারণে আমি নাকি আন্ডারডগ। কাগজে এ সব পড়ছি। আমার টিমও আমাকে একই কথা বলছে, আমি আন্ডারডগ। ভাল কথা। আমাকে আরও একবার নিজেকে প্রমাণ করতে হবে।’’
এ বছরে শেষ রেসেই দশ সেকেন্ডের কমে দৌড়েছিলেন একশো মিটারে তিন বারের অলিম্পিক্স সোনাজয়ী। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে বোল্ট বলছেন, ‘‘আমার শেষ দৌড়ের সময় ছিল ৯.৯৫ সেকেন্ড। এটাই বুঝিয়ে দিচ্ছে আমি ঠিক দিকেই এগোচ্ছি। হিট আর সেমিফাইনাল— এই দু’টো রাউন্ড সব সময় আমাকে সাহায্য করে নিজেকে ঠিক জায়গায় নিয়ে যেতে। আমি ঠিক দিকেই এগোচ্ছি। সামনের দিকেই যাচ্ছি।’’ সর্বকালের অন্যতম সেরা অ্যাথলিটের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, সাফল্যের রসায়নটা কী? বোল্ট বলে গেলেন, ‘‘নার্ভটা যে ধরে রাখতে পারবে, সে-ই সফল হবে। আমি এখানে আগেও এসেছি। আমি জানি কী করতে হয়। ’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy