পিভি সিন্ধুর অলিম্পিক্স পদক স্বপ্ন জুগিয়েছিল। জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। শেষ পর্যন্ত স্বপ্ন সফল হল তার— উৎসবা পালিতের। জাতীয় সাব জুনিয়র চ্যাম্পিয়ন হল উৎসবা। সোমবার।
বিজয়ওয়াড়ায় খেতাব জেতার পর সেখান থেকে গাড়িতে কর্নাটকে জুনিয়র জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে যাওয়ার পথে এ দিন ফোনে উৎসবা বলে দিল, ‘‘পিভি সিন্ধু আমার আইডল। অলিম্পিক্সে সিন্ধুদির খেলা দেখার জন্য অপেক্ষা করে থাকতাম। যে ভাবে সিন্ধুদি অলিম্পিক্সে লড়াই করেছে, সেটা আমায় খুব উৎসাহ দিয়েছে। ইচ্ছা আছে এক দিন সিন্ধুদির সঙ্গে দেখা করার।’’
তার হাত ধরেই তিন বছর পর জাতীয় সাব জুনিয়র ব্যাডমিন্টন ট্রফি ফের ফিরল বাংলায়। নারকেলডাঙার মেয়ে উৎসবা বিজয়ওয়াড়ায় টুর্নামেন্টের ফাইনালে ২১-১৪, ১৯-২১, ২১-১৮ হারাল পুদুচেরির এস কবিপ্রিয়াকে। এর আগে অনূর্ধ্ব-১৫ এই জাতীয় টুর্নামেন্ট জিতেছেন বাংলার আরও দুই মেয়ে। ২০০৮-এ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন ঋতুপর্ণা দাস। তিন বছর আগে ট্রফি নিয়ে এসেছিলেন রিয়া মুখোপাধ্যায়।
এ বার খেতাব উৎসবার। সল্টলেকের রামমোহন বিদ্যামন্দিরের ক্লাস নাইনের ছাত্রী ব্যাডমিন্টনটা শেখে দুই কোচের কাছে। হায়দরাবাদের জে এস রাও আর কলকাতার মৃন্ময় পাল।
সে যে দারুণ ছাত্রী, সেটা বারবার প্রমাণ করে চলেছে নারকেলডাঙার মেয়ে। ২০১৪-য় অনূর্ধ্ব-১৩ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে নেমে ব্যর্থ হয়ে ফিরলেও এ বার শুরু থেকেই দাপট দেখিয়ে ট্রফি জিতেছে। রাজ্য স্তরে অবশ্য টানা দু’বছর অপরাজিত উৎসবা। ২০১৫-য় অনূর্ধ্ব-১৫, অনূর্ধ্ব-১৭ ও অনূর্ধ্ব-১৯ বিভাগে রাজ্য চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এ বছর নামেনি অনূর্ধ্ব-১৫তে। তবে অন্য দুই বিভাগে রাজ্যসেরা হয়। রাজ্য স্তরের এই দুর্ধর্ষ ফর্ম এ বার জাতীয় পর্যায়েও ধরে রেখে জাতীয় সেরার খেতাব মুঠোয় পুরল উৎসবা। যে সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বাংলার ব্যাডমিন্টন সংস্থার সচিব শেখর বিশ্বাস। তিনি এ দিন জানিয়ে দেন, উৎসবা কলকাতায় ফিরলে দেওয়া হবে সংবর্ধনা আর আর্থিক পুরস্কার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy