ঋদ্ধিমান সাহা। ফাইল চিত্র।
বিজয় হজ়ারে ট্রফিতে গ্রুপ ‘সি’-র প্রথম ম্যাচেই গুজরাতের বিরুদ্ধে ৩৮ রানে হেরে গেল বাংলা। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে আট উইকেটে ২৫৩ রান তুলেছিল গুজরাত। জবাবে ৪৬.২ ওভারে বাংলার ইনিংস শেষ হয় ২১৫ রানে।
হারের পরে হতাশ বাংলার কোচ অরুণ লাল। ফোনে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘পিচে কোনও জুজু ছিল না। আদর্শ ব্যাটিং উইকেটে রান তাড়া করার সময়ে অফ স্টাম্পের বল তাড়া করে বিপদ ডেকে আনল ছেলেরা। যে ম্যাচ জিতে ফেরার কথা ছিল, সেই ম্যাচ হারলে খারাপ তো লাগবেই।’’
জয়পুরে মঙ্গলবার দিনের শুরুতে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলা অধিনায়ক সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। শুরুতেই ১০ ওভারের মধ্যেই গুজরাত অধিনায়ক পার্থিব পটেল ও মনন হিংরাজিয়াকে প্যাভিলিয়নে পাঠিয়ে বাংলাকে সুবিধেজনক জায়গায় পৌঁছে দেন দলের দুই পেসার দুই পেসার সায়ন ঘোষ ও আকাশ দীপ। কিন্তু সেখান থেকে গুজরাত ইনিংসের হাল ধরেন ভার্গব মেরাই ও মনপ্রীত জুনেজা। শেষের দিকে নেমে রান করেন অক্ষর পটেল ও পীযূষ চাওলাও। দু’জনকেই প্যাভিলিয়নে ফেরান অশোক ডিন্ডা (৩-৫৮)। আঁটসাঁট বল করেন অর্ণব নন্দী (১-৩৩) ও শাহবাজ় আহমেদ।
জবাবে সাত ওভারের মধ্যেই অভিষেক রামন, সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ও মনোজ তিওয়ারির উইকেট হারিয়ে বেকায়দায় পড়ে বাংলা। ২৫ রানে তিন প্রথম সারির ব্যাটসম্যান ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। সেখান থেকে দলকে লড়াইয়ে ফিরিয়ে এনেছিলেন শ্রীবৎস গোস্বামী ও ঋদ্ধিমান সাহা। কিন্তু অক্ষর পটেলের শর্ট বলে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে দলের ৮৭ রানের মাথায় আউট হন ঋদ্ধি। এর পরে অনুষ্টুপ মজ়ুমদার এসে শ্রীবৎসের সঙ্গে পাল্টা লড়াই শুরু করেন। কিন্তু ৩৬ ওভারের মাথায় অনুষ্টুপ রান আউট হতেই সেই লড়াই শেষ হয়ে যায়।
হতাশ অধিনায়ক সুদীপ চট্টোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘বোলাররা ভাল বল করায় গুজরাতকে ২৫৩ রানে আটকে রাখতে পেরেছিলাম। কিন্তু শুরুতেই তিন উইকেট চলে যাওয়ায় চাপে পড়ে যাই আমরা। তা সত্ত্বেও শ্রীবৎস ও অনুষ্টুপ একটা মরিয়া লড়াই করেছিল। ওদের আউট হওয়াটাই এই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। আশা করছি, পরের ম্যাচে এই ভুল হবে না।’’ বাংলার পরবর্তী ম্যাচ ২৮ সেপ্টেম্বর। সেই ম্যাচের প্রতিপক্ষ সার্ভিসেস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy