বেলা তখন সাড়ে দশটা। সবে কল্যাণীর সিএবি অ্যাকাডেমির মাঠে জমিয়ে বসেছেন মাঝবয়সি ভদ্রলোক। পাঁচ সেকেন্ডও কাটল না। ভদ্রলোক উঠে পড়লেন। পাশ থেকে এক জন স্কোরটা বলে উঠেছিলেন তখন। ত্রিপুরা ৫০-৫।
বিজয় হাজারে ট্রফির নকআউটে উঠতে ম্যাচটা জিততে হত বাংলাকে। বৃহস্পতিবার সেই ম্যাচ ৯ উইকেটে জিতে যে এত সহজে লক্ষ্মীরতন শুক্লরা লক্ষ্যে পৌঁছে যাবেন কে ভেবেছিল!
এলআরএস (৩-১৯), আশোক দিন্দা (২-৯) আর সায়নশেখর মণ্ডলের (১-৩৪) দাপটে চোখের পলকে পাঁচ উইকেট উড়ে যায় ত্রিপুরার। মাঝে ত্রিপুরার মণিশংকর মুরাসিংহ (৪৫) মরিয়া একটা চেষ্টা করেছিলেন। মনোজ তিওয়ারির বোলিংয়ে সুদীপ চট্টোপাধ্যায় অসাধারণ ক্যাচে তাঁকে ফেরানোর পর ২২ রানের মধ্যেই ত্রিপুরা শেষ ১২১ রানে। তার জন্য অবশ্য আরও একজনের কৃতিত্ব আছে। সৌরাশিস লাহিড়ী (৩-১৮)। নাকি বাংলার এই দাপটে জয়টাই প্রত্যাশিত ছিল। গত দু’ম্যাচে যে ভাবে ওড়িশা, ঝাড়খণ্ডকে দ্বিখণ্ড করেছে এলআরএস বাহিনী সেই দাপটের সামনে ত্রিপুরাই বা থই পাবে কী ভাবে! অবশ্য সঙ্গে আরও একটা আশঙ্কা ছিল। সেটা কল্যাণীর সবুজ উইকেট নিয়ে। কিন্তু উইকেট নিয়ে অস্বস্তিটা যে ওড়িশা ম্যাচের পরই কাটিয়ে ওঠা গিয়েছে, সেটা পরে বঙ্গ অধিনায়কের কথাতেই পরিষ্কার, “আমরা এখানে খেলাটা খুব উপভোগ করেছি। খুব ভাল উইকেট। নক আউটে ওঠার জন্য ম্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেটা আমরা পেরেছি। আশা করি গ্রুপের শেষ ম্যাচটাও অসমের বিরুদ্ধে জিতব।”