বিরাট কোহালি। ছবি: সংগৃহীত।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে একটা জিনিস পরিষ্কার করে দিলেন অধিনায়ক বিরাট কোহালি। করুণ নায়ার যতই ট্রিপল সেঞ্চুরি করুক না কেন অজিঙ্ক রাহানের অস্বিত্বকে অস্বীকার করার সময় এখনও আসেনি। দু’বছর ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলার পর কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিলেন। এ বার আবার ফিরতে চলেছেন দলে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সময়টা খুব একটা ভাল যায়নি রাহানের। হাত ভেঙে দলের বাইরে চলে গিয়েছিলেন। সেই জায়গায় নেওয়া হয়েছিল করুণ নায়ারকে। তবে এক টেস্টের জন্যই। বিরাট বলেন, ‘‘আমি মনে করি একটা ম্যাচ দু’বছরের খাটনিকে ঢেকে দিতে পারে না। সকলের বুঝতে হবে জিঙ্কস (অজিঙ্ক) গত দু’বছরে দলের জন্য কী করেছে। ওর গড় ৫০। টেস্ট দলের বিশ্বস্ত ব্যাটসম্যানও।’’
আরও খবর: মাঠে তৃপ্তি পেতে বিরাটের জীবন থেকে উধাও গরম রুটিও
তবে মনে করা হচ্ছে করুণ নায়ারের ভাগ্যটা অনেকটা ইংল্যান্ডের অ্যান্ডি সানধামের মতোই হবে। যে ১৯২৫ সালে কিংস্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৩২৫ রান করার পরের ম্যাচেই দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। আর কখনও টেস্ট ম্যাচ খেলতে পারেননি। যদিও তেমনটা হবে না বলেই আশ্বস্ত করেছেন অধিনায়ক। বলেন, ‘‘করুণ অসাধারণ। দলের যে ভাবে দরকার ছিল সে ভাবেই ও নিজেরে উজাড় করে দিয়েছে। তবে অজিঙ্ককে অবহেলা করাটা ঠিক হবে না। ফিট হলেই ওকে দলে ফেরানোটা উচিত। এটা আমার মনে হয়।’’ কোহালি এটাই পরিষ্কার করে দিয়েছেন, অশ্বিন, জাডেজা, জয়ন্ত যাদব ও অমিত মিশ্রার সাফল্যের জুটি এখনই ভেঙে ফেলবে না টিম ইন্ডিয়া। ‘‘ভবিষ্যতে কী হবে জানি না। কিন্তু আমাদের চার স্পিনার দারুণ ছন্দে রয়েছে। মিশ্রার চোটের জন্য কুলদীপকে দলে নেওয়া হয়েছে।’’
অজিঙ্ক রাহানে।
বিরাট কোহালি সব সময়ই মনে করেন সবার সঙ্গে সবার যোগাযোগটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যেটা এই দলে রয়েছে বলেও তিনি মনে করেন। ‘‘একজন প্লেয়ারকে ম্যাচ উইনার করে গড়ে তুলতে হলে তাঁকে সময় দিতে হবে। তা হলেই সে দীর্ঘস্থায়ী হবে আর ধারাবাহিকভাবে সাফল্য পাবে। অবস্থা বুঝে বোলারদের পরিবর্তন করা যেতে পারে। কখনও কখনও আমরা তিন স্পিনারেও খেলেছি। কখনও তিন সিমারে বা একজনে।’’ ব্যাটিং নিয়েও একই মত পোষণ করেন তিনি। চোটের জন্য যদি কোনও প্লেয়ার বাদ পরেন তা হলে তাঁর পাশে থাকারও পরামর্শ দিচ্ছেন বিরাট। এবং সে ফিট হয়ে ফেরার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে খেলার সুযোগ করে দেওয়া উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy