ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরন ব্যানক্রফট। ছবি: এএফপি।
সিডনিতে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। ঠিক তখনই পার্থ থেকে সংবাদ মাধ্যমের সামনে বসে সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলেন ক্যামেরন ব্যানক্রফট। তিনি বলেন, ‘‘ হ্যাঁ, আমি মিথ্যে কথা বলেছি। স্যান্ডপেপার সম্পর্কে আমি মিথ্যে কথা বলেছি। আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।’’ শুরুতে তিন জনেই ভুল বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পরে মেনে নিতে বাধ্য হন। কারণ সব প্রমাণ ছিল ব্যানক্রফটের বিরুদ্ধে। মাঠের ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল ব্যানক্রফটের বল বিকৃত করার সেই দৃশ্য।
তিনি এও মেনে নিয়েছিলেন যে তাঁকে পুরো ব্যাপারটি বুঝিয়ে বলেছিলেন সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। পরিকল্পনাটা ড্রেসিংরুমে করেছিলেন স্মিথ ও ওয়ার্নার। পরবর্তীতে সকলেই সে কথা মেনে নেন। ব্যানক্রফট বলেন, ‘‘ক্রিকেট আমার ভালবাসা। দেশের হয়ে খেলাটা আমার কাছে গর্বে। আমি আমার কৃতকার্যে হতাশ। মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি। বিশেষ করে তাদের কাছে যারা আমার খেলা দেখতেন। সেই সব বাচ্চাদের কাছে যারা আমাকে দেখত।’’
যা করেছেন, তার জন্য সারা জীবন আফসোস করতে হবে জানেন তিনজনেই। সেটা মেনেও নিয়েছেন। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও আইসিসিকে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তে সব রকম সাহায্য করবে। ব্যানক্রফট বলেন, ‘‘শেষ কয়েকদিন নিজের সঙ্গে ছাড়া কারও সঙ্গে সময় কাটাইনি। আমার জন্য এটা একটা বড় ওয়েক আপ কল। আমার মনে হচ্ছে আমি অস্ট্রেলিয়ার মাথা নত করে দিয়েছি।’’
আরও পড়ুন
ক্রোনিয়ে স্মৃতি ফিরিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন স্মিথ
স্মিথ ও ব্যানক্রফটের মতো সংবাদ মাধ্যমের সামনে আসেননি ডেভিড ওয়ার্নার। সিডনি পথে উড়ে যাওয়ার আগে তিনি ইনস্টাগ্রামে তাঁর বক্তব্য জানিয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়া ও বিশ্বের ক্রিকেট ফ্যানদের জন্য বলছি, আমি এখ সিডনির পথে। যে ভুল হয়েছে সেটা ক্রিকেটেরই ক্ষতি করেছে। আমার তরফে ক্ষমা চাইছি এবং দায়িত্ব নিচ্ছি। ক্রিকেটের গায়ে দাগ লেগেছে। আমি এখন পরিবার, বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে চাই। খুব দ্রুত আমার কথা আবার শুনতে পাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy