এক জনের ভরসা পরপর দু’ম্যাচে জয়ের আত্মবিশ্বাস। আর এক জনের প্রধান শক্তি দলের ম্যাচ উইনাররা। যাঁরা নিজের দিনে যে কোনও ম্যাচের রঙ বদলে দিতে পারেন। সোমবার আইপিএলের যুদ্ধে নামার আগে তাই দু’জনই জেতার ব্যাপারে প্রবল আত্মবিশ্বাসী। তাঁরা— কলকাতা নাইট রাইডার্সের বোলিং পরামর্শদাতা ওয়াসিম আক্রম ও দিল্লির কোচ গ্যারি কার্স্টেন।
প্রাক্তন জাতীয় কোচ বলে দেন, ‘‘আসল কথা হল জয়ের ধারাবাহিকতা তৈরি করা। তার পর সেটা ধরে রাখা। আমরা সুন্দর দুটো আত্মবিশ্বাসের ইঞ্জেকশন পেয়ে গিয়েছে দুটো জয়ে।’’ প্রথম দু’ম্যাচে হারের পর কিংস ইলেভেন পঞ্জাব আর শনিবার সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে নাটকীয় ভাবে জেতে দিল্লি। একই দিনে কম নাটকীয় জয় পায়নি কেকেআরও। যার পিছনে শুধু ম্যাচের সেরা আন্দ্রে রাসেলই নয় ইউসুফ পাঠানের ধৈর্যশীল ইনিংসও কম ভূমিকা নেয়নি। আর এখানেই তাঁদের সবচেয়ে বড় আত্মবিশ্বাস বলে মনে করেন আক্রম। ‘‘ইউসুফ আমাদের তুরুপের তাস। এই ফর্ম্যাটে বিশাল বিশাল হিট করাই নয়, আত্মবিশ্বাসটাও উপভোগ করছে। শুধু ব্যাটিংই নয় বোলিং ফিল্ডিংটাও তো রয়েছে।’’
ফিল্ডিং দিল্লিরও বড় ভরসা। শনিবার ময়াঙ্ক অগ্রবাল একাই তো শেষ ওভারে ছয় বাঁচিয়ে জিতিয়ে দিয়েছিলেন। তার উপর জেপি দুমিনির টিম যে ভাবে চাপের মুখে পরিস্থিতি সামলেছে তাতেও খুশি কার্স্টেন। ‘‘চারটে কঠিন ম্যাচের দুটো পেরিয়ে এসেছি আমরা। ঠিক পথেই চলছি আমরা। এটাই স্বস্তির।’’ কোচের মতো দিল্লির ক্যাপ্টেনও স্বস্তিতে। তবে সেটা বেশি করে টিমের ব্যাটিং কম্বিনেশন নিয়ে। সপ্তাহ খানেক আগেও যা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকার কথা বলেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান তারকা। কেকেআরের সমর্থকদের দুশ্চিন্তা আবার সুনীল নারিনকে নিয়ে। অ্যাকশন শুধরে বল করতে নেমে তিন ম্যাচে যাঁর শিকার মাত্র এক উইকেট। তবে আক্রম বলছেন, ‘‘নারিনকে দেখে আমার দারুণ লাগল। এমনকী ওর এই বোলিং অ্যাকশনও একই রকম ঘাতক। নতুন অ্যাকশনে মানিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগে। দু’তিনটে ম্যাচে নারিন নিশ্চয়ই ব্যাপারটা সামলে নেবে।’’ এই সুযোগটার জন্যই অপেক্ষা করে নেই তো দিল্লি? আরও স্পষ্ট করে বললে যুবরাজ সিংহ? পুরনো ছাত্রকে নিয়ে কার্স্টেন কিন্তু উচ্ছ্বসিত। ‘‘আমরা জানি যুবরাজের থেকে আমরা পারফরম্যান্স পেতে পারি। আর ও নিজেও মুখিয়ে রয়েছে সেটা দিতে। এর চেয়ে বেশি কী চাওয়ার আছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy