কেপ টাউনে হতে হতেও ঘটেনি। বার্মিংহামে মুঠোর মধ্যে পেয়েও পিছলে যায়। অবশেষে অ্যাডিলেডে যে জয় ছিনিয়ে নেওয়া গিয়েছে, সেটা দেখে খুশি রবি শাস্ত্রী। ভারতীয় দলের হেড কোচ মনে করছেন, ‘ফিনিশিং লাইন’ অতিক্রম করা নিয়ে বার বার যে সমস্যা হচ্ছিল, সেটা এ বার দূর হওয়ার অভিযান শুরু হল।
ভারতীয় দলের কোচ হয়ে আসার পর থেকে তীরে এসে তরী ডোবার নানা কাহিনির সাক্ষী শাস্ত্রী। এই অ্যাডিলে়ডেই চার বছর আগে টেস্ট জেতার মুখে এসে দেখেছেন, বিরাটরা হেরে গিয়েছেন। শ্রীলঙ্কায় গলে গিয়ে প্রথম টেস্টে জেতা ম্যাচ হেরেছে। কেপ টাউনে ২০৮ তাড়া করতে নেমে ১৩৫ অলআউট। বার্মিংহামে ১৯৪ তাড়া করতে নেমে ১৬২ অলআউট। গলে চান্ডিমল এবং রঙ্গনা হেরাথের সামনে চূর্ণ হওয়া। অ্যাডিলেড বিরাটদের সংসারে নতুন টেমপ্লেট নিয়ে হাজির হল। শাস্ত্রী তাই হারের শাপমোচন ঘটিয়ে খুশি। অ্যাডিলেডে ঐতিহাসিক জয়ের প্রতিক্রিয়া চাওয়ায় আনন্দবাজারকে বললেন, ‘‘বোলারদের ধৈর্য ধরা এবং শেষ পর্যন্ত গোটা দলের স্নায়ু ধরে রাখাকে কৃতিত্ব দেব। অস্ট্রেলিয়া দারুণ লড়াই করেছে, তবে আমরা এ বার কাজটা করেই ছেড়েছি। নাছোড় হয়ে লেগেছিল ছেলেরা।’’
শাস্ত্রী নিজে চেন্নাইয়ে (তখনকার মাদ্রাজে) সেই টাই টেস্টের সদস্য ছিলেন। যে ভাবে অস্ট্রেলিয়ার টেলএন্ডাররা লড়ছিলেন, তাতে অনেকের টাই টেস্টের স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছিল। যদিও পিছন ফিরে তাকাতে চান না ভারতের হেড কোচ। অধিনায়ক কোহালির মতোই তাঁর লক্ষ্য, অস্ট্রেলিয়া থেকে সিরিজ জিতে ইতিহাস সৃষ্টি করে ফেরা। তবে তা নিয়ে আগাম মন্তব্যে যেতে চান না। সিরিজের বাকি ম্যাচ নিয়ে কী আশা করছেন? জিজ্ঞেস করায় অতীতে আশা জাগিয়েও স্বপ্নভঙ্গের অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখেই সম্ভবত বলে দিলেন, ‘‘এক লাফে বেশি দূর ভাবতে চাই না। একটা একটা করে সিঁড়ি অতিক্রম করার কথাই ভাবছি আমরা। অ্যাডিলেডে আমরা জিতেছি, স্কোরলাইন ১-০। পরের স্কোরের জন্য আমাদের আবার পরিশ্রম শুরু করতে হবে।’’