কিভিতোভা: অল্পের জন্য বাঁচলেন।
টেনিস বিশ্বে ৩০ এপ্রিল, ১৯৯৩-এর ভয়ঙ্কর স্মৃতি ফিরিয়ে আনল ২০ ডিসেম্বর, ২০১৬। সাড়ে তেইশ বছর বাদে ফের শীর্ষস্থানীয় এক মেয়ে টেনিস তারকা ছুরিকাহত! সে দিন মোনিকা সেলেস। এ দিন পেত্রা কিভিতোভা।
সেলেস তাঁর হামবুর্গ ওপেন ম্যাচ চলাকালীন কোর্টেই জনৈক ‘স্টেফি ভক্তে’র দ্বারা ছুরিকাহত হয়েছিলেন। সার্ভিস ব্রেকের সময় চেয়ার-আসীন সেলেসকে কাঁধে ছুরি মেরেছিলেন দুষ্কৃতী। যার পর প্রাক্তন বিশ্বসেরা সেলেস আর মাত্র একটাই গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিততে পেরেছিলেন। এবং ওই অভূতপূর্ব আক্রমণের পরেই টেনিস ট্যুরে সার্ভিস ব্রেকের সময় প্লেয়ারের সামনে-পিছনে বলবয়ের দাঁড়িয়ে থাকা গোটা বিশ্বে বাধ্যতামূলক। যাতে প্লেয়ারকে কেউ আঘাত করতে না পারে।
দু’বারের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন কিভিতোভা এই মুহূর্তে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম দশে নেই। এবং চেক পুলিশের বক্তব্য, ঘটনাটা মঙ্গলবার সকালে কিভিতোভার প্রোসেয়ভের বাড়িতে ডাকাতি সংক্রান্ত। পুলিশ আততায়ী হিসেবে বছর পঁয়ত্রিশের এক ব্যক্তির তল্লাশি চালাচ্ছে। বাঁ-হাতি প্লেয়ার কিভিতোভার বাঁ হাতেই অবশ্য ছুরির আঘাত লেগেছে। যার কয়েক ঘণ্টা আগেই তিনি পারথে নববর্ষের দিন শুরু হপম্যান কাপ থেকে নাম তুলে নিয়েছিলেন পায়ের চোট পুরো সেরে না ওঠার কারণে। এখন তাঁর খেলার হাতেই ছুরির আঘাত লাগায় পরের মাসে কিভিতোভার অস্ট্রেলীয় ওপেনে অংশ নেওয়াও প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল।
হতাশ এবং তার থেকেও অনেক বেশি ভয়ার্ত কিভিতোভা এক টুইটার বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘আজ আমার বাড়িতে ছুরি হাতে এক দুষ্কৃতী আমাকে আক্রমণ করেছিল। লোকটাকে আমি বাধা দিতে গেলে আমার বাঁ হাতে সে ছুরি মারে। প্রচণ্ড ভয় পেয়েছিলাম। আমার কপাল ভাল যে, বেঁচে আছি। হাতের আঘাতটা এত মারাত্মক, আমাকে স্পেশ্যালিস্ট ডাক্তারের কাছে যেতে হয়েছে। কিন্তু আপনারা নিশ্চয়ই জানেন আমি মানসিক ভাবে কতটা শক্তিশালী। তাড়াতাড়ি সুস্থ হওয়ার জন্য লড়ব। শুধু সেই সময়টা আমাকে একা থাকতে সাহায্য করুন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy