মহড়া: বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালের প্রস্তুতি চলছে ব্রাজিলের। অনুশীলনে কুটিনহো, নেমার। ছবি: এএফপি
অল্পেতেই তাঁর অতি ছটফটানি নিয়ে ফুটবলবিশ্ব তোলপাড়। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সংবাদমাধ্যম, ফুটবল ভক্ত থেকে প্রাক্তন তারকা, সবাই নেমার দা সিলভা স্যান্টোস (জুনিয়র)-এর এই ‘প্লে অ্যাক্টিং’-য়ে বিস্মিত, বিরক্তও। সবার মুখ বন্ধ করতে এ বার আসরে নামলেন তিনি।
নেমারের সমালোচকদের এক হাত নিলেন রোনাল্ডো লুইস নাজারিয়ো দি লিমা। ব্রাজিল ফুটবল যাঁকে বড় রোনাল্ডো নামেই চেনে।
রাশিয়া বিশ্বকাপে তাঁর দেশের অন্যতম তারকা ফুটবলারের পাশে দাঁড়িয়ে রোনাল্ডো বলছেন, ‘‘নেমার নিয়ে এই সমালোচনার কোনও ভিত্তি নেই। রেফারি নেমারকে বিপক্ষ ফুটবলারদের ফাউল থেকে রক্ষা করতে পারছেন না। টিভির অনুষ্ঠানে সময় পূর্ণ করতে বা খবরের কাগজে পাতা ভরাতেই এই সমালোচনা।’’
ফেসবুক-টুইটারে নেমারের মাঠে পড়ে যাওয়ার ছবি, ভিডিয়ো পোস্ট করে তার সঙ্গে অনেকের নানা ভাবে পড়ে যাওয়ার ঘটনার তুলনা করা হচ্ছে অনবরত। এমনকি ‘পতনশীল’ নেমারকে নিয়ে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন বিজ্ঞাপনও। তাঁর ফুটবল দক্ষতা নিয়ে যত না চর্চা হচ্ছে, তার চেয়েও বেশি আলোচনা চলছে তাঁর ‘প্লে অ্যাক্টিং’-এ অতি বাড়াবাড়ি নিয়ে। নেমারের সমালোচকদের মধ্যে যেমন রয়েছেন মেক্সিকোর কোচ খুয়ান কার্লোস ওসোরিয়ো, তেমনই তাঁর এই কাণ্ড ভাল চোখে দেখছেন না জার্মানির প্রাক্তন অধিনায়ক লোথার ম্যাথেউজও। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ফুটবলার অ্যালান শিয়ারার। প্রাক্তন ফরাসি তারকা এরিক কঁতোনাও।
আরও পড়ুন: ‘সাহস ও ক্ষিপ্রতায় নজর কেড়েছেন আকিনফেভ’
এদের সকলকেই একহাত নিয়ে রোনাল্ডো বলছেন, ‘‘ফুটবলকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যায়। নেমার একজন বুদ্ধিমান ফুটবলার। বল নিয়ে এগোবার সময় কী ভাবে বিপক্ষের ট্যাকল থেকে নিজেকে বাঁচাতে হয়, সে ব্যাপারেও সজাগ। রেফারির থেকে এ ব্যাপারে সে রকম সহযোগিতা পাচ্ছে না নেমার।’’
যাঁকে নিয়ে এত কথা, সেই নেমারও বলছেন, ‘‘ব্যথা লাগলে
ছটফট করবই। কেউ যদি খেলা বন্ধ থাকা অবস্থায়, বল ছাড়াই আমার পায়ের ওপরে দাঁড়িয়ে পড়ে সেটা কি অন্যায় নয়? ওরা (মেক্সিকো) এত কিছু বলার পরে তো নিজেরাই দেশে ফিরে গেল।’’
সেই ম্যাচের একটি মুহূর্তে দেখা যায় নেমার যখন মাঠে পড়ে ছিলেন, তখন মেক্সিকোর মিগুয়েল লেইয়ুন কার্যত নেমারের পায়ের ওপর পা রেখে তাঁর পাশ থেকে বলটা কুড়িয়ে নেন। এর পরে যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে প্রায় আর্তনাদ শুরু করেন ব্রাজিলীয় তারকা।
এই ঘটনারই সমালোচনা করে ওসোরিয়ো বলেন, ‘‘আমার দলের ছেলেদের ছন্দ নষ্ট হয়ে যায় তখনই। একজন খেলোয়াড়ের চোট নিয়ে রেফারি এত সময় নষ্ট করবেন কেন? ফুটবলের মতো খেলায় তীব্রতা থাকবেই। এটাই স্বাভাবিক।’’
কোনও সমালোচনাতেই অবশ্য কর্ণপাত করতে রাজি নন নেমার। বলে দেন, ‘‘নিন্দা, প্রশংসা কোনও কিছুতেই কান দিই না আমি। কারণ, এর ফলে আমার আচরণে প্রভাব পড়তে পারে। জানি, এগুলো আমাকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা ছাড়া কিছুই না। তবে এ ভাবে আমাকে আটকানো যাবে না।’’ ব্রাজিল কোচ তিতেও জানিয়ে দিয়েছেন, দলের সেরা তারকার পাশে আছেন তিনি। নেমারের এই প্রতিক্রিয়া নিয়ে সমালোচনার ঝড়ের মধ্যেই মুখ খুললেন জার্মান তারকা ম্যাথেউজ। ১৯৯০-এর বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য বলেন, ‘‘নেমার অনেক ব়ড় ফুটবলার। ও বিশ্বের সেরা পাঁচের অন্যতম। ওর এ সব করার কোনও দরকার নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy