বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিলেও মেসি-রোনাল্ডোকে নিয়ে তর্ক থামছে না। ছবি: এএফপি।
লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। স্রেফ ফুটবলার নন। দুই জনেই মহাতারকা। দুই জনকে নিয়েই রয়েছে অন্তহীন আবেগ, রয়েছে মুগ্ধতা, ভালবাসা।
মুশকিল হল, সেই ভালবাসাই এক্ষেত্রে ধরাচ্ছে ভাঙন। ভাঙছে বাসা। চুরমার করছে ঘর। ফাটল ধরছে দাম্পত্যে। যার পরিণতি হয়ে উঠছে করুণ বিচ্ছেদে।
এমনই ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ায়। পাহাড় ঘেরা ইউরালের কাছেই চেলিয়াবিনস্ক শহর। সেখানের আদালতেই এক ব্যক্তি আবেদন জানিয়েছেন ডিভোর্সের। কারণ, মেসি ও রোনাল্ডোকে নিয়ে ভালবাসার সংঘাত!
আরও পড়ুন: জোড়া হলুদ কার্ড দেখে কোয়ার্টার ফাইনালে যাঁরা মাঠের বাইরে
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে একমাত্র ‘আফ্রিকান দল’ ফ্রান্স
রাশিয়ার এক সংবাদপত্র জানিয়েছে, মেসি-রোনাল্ডোকে নিয়ে শেষ না হওয়া তর্কের কারণেই এহেন বিচ্ছেদের আবেদন। স্বামীর নাম আরসেন। স্ত্রী লিউডমিলা। সুখের সংসারে, দাম্পত্যে কাঁটা হয়ে উঠল দুই তারকার প্রতি আনুগত্য। গ্রুপের ম্যাচে নাইজিরিয়ার বিরুদ্ধে মেসি গোল করতেই আনন্দে লাফিয়ে উঠেছিলেন আরসেন। যা সহ্য করতে পারেননি লিউডমিলা। তিনি ব্যঙ্গ করতে থাকেন ক্রমাগত। বলেন, মেসি তো আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে পেনাল্টিতেই গোল করতে পারেননি!
লিউডমিলার দেওয়া খোঁচা আবার হজম করতে পারেননি আরসেন। তিনি বিদ্রূপ করেন রোনাল্ডোকে। ওই সংবাদপত্রে আরসেন বলেছেন, “বিশ্বকাপের শুরু থেকেই লিউডিমলা ইয়ার্কি করছিল মেসিকে নিয়ে। বারবার রসিকতা করছিল আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে পেনাল্টি নষ্টের প্রসঙ্গ এনে। আমি শেষ পর্যন্ত আর চুপ করে থাকতে পারিনি। রোনাল্ডোকে নিয়ে দু-চার কথা আমিও তখন শুনিয়ে দিই। পর্তুগাল জাতীয় দল ও লিউডিমলা যে ক্লাবগুলোকে পছন্দ করে, সেগুলো নিয়েও বিদ্রূপ করি। তারপর আমার জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়ে বেরিয়ে যাই।”
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম ২০০০ রানের মালিক কোহালি
আরও পড়ুন: ভারতীয় কিশোরীর কোন আবদার রাখলেন রজার ফেডেরার? দেখুন ভিডিয়ো
আরসেনের পরের কাজ ছিল চেলিয়াবিনস্ক শহরের আদালতে ডিভোর্সের আবেদন জানানো। মেসি-রোনাল্ডো জানতেই পারলেন না কীভাবে রুশ দম্পতির জীবনে সমস্যা হয়ে উঠলেন দু’জনে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy