Advertisement
E-Paper

‘ক্রোয়েশিয়া, ইংল্যান্ড তারকা-নির্ভর নয়’

একে দারুণ চমক জাগানো রুশ ফুটবল। সঙ্গে হাজার হাজার মানুষের সমর্থন। এমন নারকীয় চাপের মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসা মুখের কথা নয়। ক্রোয়েশিয়া যা করে দেখিয়েছে।

মারিয়ো কেম্পেস

শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৮ ০৪:৩৭

রাশিয়ার স্বপ্ন এবং অবিশ্বাস্য অভিযান ছারখার করে বুধবার মস্কোয় বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল খেলবে ক্রোয়েশিয়া। ইউরোপের এই দেশটা সত্যিই এক সোনার সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আর তার প্রধান দুই চালিকাশক্তির নাম লুকা মদ্রিচ ও ইভান রাকিতিচ।

একে দারুণ চমক জাগানো রুশ ফুটবল। সঙ্গে হাজার হাজার মানুষের সমর্থন। এমন নারকীয় চাপের মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসা মুখের কথা নয়। ক্রোয়েশিয়া যা করে দেখিয়েছে। ওই স্তরের শক্তিক্ষয়, এবং সঙ্গে আবেগ কাটিয়ে ওঠার জন্য মদ্রিচরা দিন তিনেক সময় হাতে পেল। বিশ্বকাপ শুরুর এক মাস আগেও ওদের কেউ হিসাবের মধ্যে রাখেনি। ওদের খেলা অন্য মাত্রা পাচ্ছে মাঝমাঠের জন্য। আক্রমণটা শুরু হচ্ছে রাকিতিচ আর মদ্রিচকে দিয়ে। অসম্ভব ভাল এই দু’জনের ফুটবলবুদ্ধি। সঙ্গে দু’প্রান্তে ইভান পেরিসিচ আর আন্তে রেবিচ উঠে যাচ্ছে ঝড়ের গতিতে। মদ্রিচদের সামনে একটু পিছিয়ে দাঁড়িয়েই আক্রমণে যাচ্ছে আন্দ্রে কার্মারিচ। এবং বার বার গোলের সামনে ভাল ভাল বল পেয়ে যাচ্ছে মারিয়ো মাঞ্জুকিচ। ক্রোয়েশিয়ার খেলার আর একটা দিক বেশ চোখে পড়ার মতো। গোল করার আসল লোক মাঞ্জুকিচকে ধরা হলেও ওদের মোট আট জন কিন্তু গোল করে দিয়েছে এ বার। এটা একটা ব্যাপারই প্রমাণ করে। ক্রোয়েশিয়া ব্যাক্তিগত নৈপুণ্যের দিকে তাকিয়ে থাকা দল নয়। দল হিসেবে খেলতে পারে।

ইংল্যান্ডের ক্ষেত্রে আলাদা করে এক জনের কথা বলতে চাই। গোলকিপার জর্ডান পিকফোর্ড। অসাধারণ সব গোলরক্ষা করেছে ছেলেটা। শুধু টাইব্রেকারে নয়, ম্যাচেও। দেখে-শুনে ইংল্যান্ডকে একেবারে নতুন ধরনের মনে হচ্ছে ওদের কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের জন্যও। এই দলটার একটা বড় গুণ, ক্রোয়েশিয়ার মতোই তারকা নির্ভর নয়। সবাই এক সুরে বাঁধা। তাই আমার মনে হয়েছে, ইংল্যান্ড মোটেই হ্যারি কেনের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল নয়। ছোট্ট উদাহরণ দিচ্ছি। একটা ম্যাচে ডেলি আলিকে তুলে নেওয়া হল। তাতে কী ভীষণ বিরক্তি ছেলেটার! পরমুহূর্তেই দেখলাম, কোচ নিজে ডেলির সঙ্গে কথা বলছে।

আরও পড়ুন: হ্যারি কেনকে ভয় পাচ্ছেন না মদ্রিচরা

সাউথগেটের ছক অনুযায়ী ইংল্যান্ডের রক্ষণ সামলাচ্ছে মূলত তিন জন। কাইল ওয়াকার, জন স্টোনস আর হ্যারি ম্যাগুইয়ার। তাই আক্রমণে সব সময়ই অন্তত পাঁচ জন থাকছে। কায়রান ট্রিপিয়ার, অ্যাশলে ইয়ং, ডেলি আলি, জর্ডান হেন্ডারসন, জেসে লিনগার্ডের জন্য এক-একটা ম্যাচে অনেকক্ষণ নিজেদের কাছে বল রাখতে পারছে ইংল্যান্ড। তাই রাহিম স্টার্লিং, কেন-রা পর পর বিপক্ষ বক্সে বল পেয়ে যাচ্ছে।

কেন-এর ভূমিকাটা খানিকটা ফলস নাইন-এর মতো। মাঝমাঠ থেকে আসা বল ধরে ও কিন্তু নিজেও সামনের দিকে ঠিকঠাক পাস এগিয়ে দিচ্ছে।

England Croatia FIFA World Cup 2018 বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮ Football Semifinal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy