Advertisement
E-Paper

‘ফ্রান্স আর বেলজিয়ামের ফাইনাল হলেই ভাল হত’

আপাতত ফ্রান্স-বেলজিয়াম ম্যাচেই সবার চোখ। ওরা প্রতিবেশী দেশ। নিজেদের মধ্যে আকচা-আকচিও আছে। তাই নিশ্চিত ভাবেই দু’দেশেই উত্তেজনার পারদ চরমে।

রিভাল্ডো

শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৮ ০৪:৫৮
মহড়া: ফ্রান্সকে হারানোর প্রস্তুতি উইটসেল, লুকাকু, অ্যাজারদের। ছবি: রয়টার্স

মহড়া: ফ্রান্সকে হারানোর প্রস্তুতি উইটসেল, লুকাকু, অ্যাজারদের। ছবি: রয়টার্স

কোয়ার্টার ফাইনাল শেষ। বিশ্বকাপ আর মাত্র তিন ম্যাচের মামলা। প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি ইউরোপের দুই হেভিওয়েট। তবে চার সেমিফাইনালিস্টের মধ্যে এক মাত্র ফ্রান্সকেই ফেভারিট বলা হয়েছিল। খেতাবের বাকি সব দাবিদার ছিটকে গিয়েছে। জার্মানি, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল— সবাই। এখন যা অবস্থা কাপটা কারা নিয়ে যাবে কারও পক্ষে বলা সম্ভব নয়। তবে এই মুহূর্তের দাবিদার কে বলতে গেলে বেলজিয়ামের নামটাই মাথায় আসছে। ইংল্যান্ডের চেয়ে অন্তত এডেন অ্যাজারদের অনেকটা এগিয়ে রাখছি।

আপাতত ফ্রান্স-বেলজিয়াম ম্যাচেই সবার চোখ। ওরা প্রতিবেশী দেশ। নিজেদের মধ্যে আকচা-আকচিও আছে। তাই নিশ্চিত ভাবেই দু’দেশেই উত্তেজনার পারদ চরমে। এমনিতে দু’পক্ষই শক্তিশালী। সেন্ট পিটার্সবার্গের ক্রেস্তভস্কি স্টেডিয়ামে এক ঝাঁক প্রতিভা কাল পরস্পরের সঙ্গে লড়বে। আমি বেলজিয়াম নিয়েই বেশি আগ্রহী। হাজার হোক ওদের কাছে হেরেই তো আমরা এ বার প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গিয়েছি! বলা হচ্ছে এ বারের বেলজিয়ামে খেলছে ওদের সোনালি প্রজন্ম। সেই এনজো শিফোদের কথাও মনে পড়ছে। ছিয়াশিতে মেক্সিকোয় যারা বেলজিয়ামকে সেমিফাইনালে তুলেছিল। সে বার দিয়েগো মারাদোনাই শেষ চারে ওদের থামিয়ে দিল। মনে পড়ছে এমন কত কিছু। এ বারের বেলজিয়াম সত্যিই দারুণ। প্রচুর প্রতিভা। অ্যাজার (এডেন), লুকাকু ( রোমেলু), দে ব্রুইন (কেভিন), ফেলাইনি (মারুয়ান), কোম্পানি (ভ্যানসঁ), কুর্তোয়া (থিবো)— দীর্ঘ তালিকা। কিন্তু সব কিছু ছাপিয়ে একজন । তিনি রবের্তো মার্তিনেস। বেলজিয়াম কোচের কথাই বলছি। ফুটবলজ্ঞান অসাধারণ। পরিস্থিতি বুঝে নানা রণনীতি তৈরি করেন। বেলজিয়ামই এই বিশ্বকাপের একমাত্র দল যারা মূলপর্বে সব ম্যাচ জিতেছে। সব ম্যাচ মানে পাঁচটা ম্যাচ। সেটা কম না। তার উপর প্রচুর অভিজ্ঞতা। প্রতি-আক্রমণে জবাব নেই এবং কুর্তোয়া নামক প্রহরী আছে। শূন্যে বা উপরের বল-এ ওকে হার মানায় কার সাধ্য! তেমনই রিফ্লেক্স। সঙ্গে পুরো দলটারই আত্মবিশ্বাস উপচে পড়ছে। এতটা সত্যিই দেখা যায় না। সঙ্গে ওদের বাড়তি অস্ত্র থিয়েরি অঁরির পরামর্শ! ফ্রান্সের ফুটবলের আঁটঘাট অঁরির চেয়ে ভাল আর কে জানবে? সামান্য হলেও বেলজিয়ামের খেলায় একটা খুঁত চোখে পড়ে। অতিরিক্ত আক্রমণে যাওয়ার প্রবণতার জন্য অনেক সময় ওদের মাঝমাঠে ফাঁকা জায়গা তৈরি হয়। ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ে দেশঁ নিশ্চয়ই সেটাই মাথায় রাখবে। আমার কিন্তু ফ্রান্সের খেলাও ভাল লাগছে। ওদের আক্রমণে অসংখ্য প্রতিভা। এক এক জন শিল্পী যেন। আক্ষরিক ‘শ্যাম্পেন ফুটবল’। উরুগুয়ে তো প্রতিরোধই গড়তে পারল না। গ্রিজ়ম্যানের (আঁতোয়া) বুদ্ধি, এমবাপের রহস্যময় নড়াচড়া চোখে পড়ার মতো। ওরা এমনিতে খেলছে ৪-২-৩-১। মানে জিহুর (অলিভিয়ে) পিছনে থাকছে তিন জন। কারা? পোগবা, গ্রিজ়ম্যানরা। ওদের আক্রমণে ঝাঁঝ তো থাকবেই!

আরও পড়ুন: মাঝমাঠের লড়াই আজ ঠিক করে দেবে ম্যাচের ভাগ্য

খুব ভাল হত আগামী রবিবার এই ম্যাচটাই ফাইনাল হলে। তবে হতে পারে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেরা সেমিফাইনালটাই আমরা কাল দেখতে যাচ্ছি। আপাতত অধীর অপেক্ষায় থাকলাম।

Rivaldo France Belgium Football FIFA World Cup 2018 বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy