ক্রোয়েশিয়ার মাঝমাঠে অন্যতম ভরসা রাকিতিচ। ছবি: রয়টার্স।
বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের আগে জ্বর ছিল ইভান রাকিতিচের। বুধবার রাতে হ্যারি কেনের ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নামা নিয়েই ছিল সংশয়। ৩৯ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড ছিল তাপমাত্রা। ফারেনহাইটে যা ১০২ ডিগ্রিরও বেশি। বিছানায় শুয়ে ক্রোয়েশিয়ার মিডফিল্ডার নিজেকেই বলছিলেন, নামতেই হবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে।
নিজেকে দেওয়া কথা রেখেছেন রাকিতিচ। নেমেছেন মাঠে। জিতে উঠেওছেন বিশ্বকাপের ফাইনালে। ক্রোয়েশিয়ার ফুটবল ইতিহাসে যা সৃষ্টি করেছে নজির। বার্সেলোনার মিডফিল্ডার তার পর বলেছেন, “মঙ্গলবার রাতে আমার জ্বর ছিল। তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মতো। মাঠে নেমে সেমিফাইনাল খেলার শক্তি যেন না হারিয়ে ফেলি, এটাই ছিল আশঙ্কা। সেমিফাইনালে জেতায় অবশেষে স্বস্তি। এবার যদি দরকার পড়ে, তবে এক পা নিয়েও নামব ফাইনালে।” অর্থাত্, রবিবার রাতে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের ফাইনালে নামার জন্য কোনও কিছুতেই পিছপা নন তিনি।
ইংল্যান্ড দলকে নিয়ে সেমিফাইনালের আগে যে হাইপ উঠেছিল, তা অবশ্য ভালো ভাবে নেননি রাকিতিচ। তিনি বলেছেন, “ইংল্যান্ড ভেবেছিল, ওরা ফাইনালে পৌঁছেই গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যা সব চলছিল। রবিবার আমরা যখন ফাইনালে নামব, তখনও না হয় ওরা এগুলো করতে থাকুক।” বোঝা যাচ্ছে, ইংল্যান্ডকে হারিয়েও রাগ যাচ্ছে না তাঁর।
ফাইনালে ওঠার পর ইংল্যান্ডের ম্যানেজার সাউথগেটের সঙ্গে খালি গায়ে রাকিতিচ। ছবি: রয়টার্স।
রাগারাগির কারণ অবশ্য রয়েওছে। ম্যাচে ইংল্যান্ডের ডেলে আলির সঙ্গে ঝামেলা হয় তাঁর। জার্সি ধরে তাঁকে টানতে থাকেন ডেলে আলি। আর অন্যদিকে, রেফারি তাঁকে ধরে আটকে রাখেন। এই ছবি ছড়িয়েও পড়ে ফুটবলমহলে। তবে তার থেকেও বেশি চর্চায় ম্যাচের পর রাকিতিচের উত্সবে মেতে ওঠার ছবি। জার্সি ও প্যান্ট খুলে দিয়ে শুধুমাত্র অন্তর্বাস পরে মাঠে উত্সবে মাতেন তিনি। ইংল্যান্ডের ম্যানেজার গ্যারেথ সাউথগেটের সঙ্গেও ওভাবেই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ইস্টবেঙ্গলে কি এ বার রোবিনহো?
আরও পড়ুন: ৩২ দেশের বিয়ার জড়ো করে ফুটবল সেলিব্রেশন ইংরেজ গাসের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy