বুধবার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের ষষ্ঠ দিনের খেলা শুরুর আগে একটি টুইট করেছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। জানিয়েছিলেন, বুধবার প্রথম ১০ ওভার যে দল ভাল খেলতে পারবে, ম্যাচ জেতার সম্ভাবনাও তাদেরই বেশি। দিনের শেষে মাস্টার ব্লাস্টারের কথা অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল। প্রথম দশ ওভারে সেই যে ভারতের উপর আধিপত্য দেখানো শুরু করল নিউজিল্যান্ড, গোটা দিনে তা কেড়ে নিতে পারল না বিরাট কোহলীর ভারত। আরও একটা ফাইনাল হারলেন কোহলী।
বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস ছিল না। সকাল সকালই ভারতের ‘ওয়েদার ম্যান’ দীনেশ কার্তিক সাদাম্পটনের রোদ ঝলমলে ছবি টুইট করেছিলেন। বোঝা গিয়েছিল, পুরো দিনের খেলাই সম্ভবত হতে চলেছে। বাস্তবিকই তাই। মাথার উপর রোদ থাকল গোটা ম্যাচেই। আর সেই রোদের আলোয় ঝলমল করলেন ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, কেন উইলিয়ামসনরা।
খেলা শুরু করেছিলেন কোহলী এবং চেতেশ্বর পূজারা। প্রথম কয়েকটা ওভার তাঁদের দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মনোভাব দেখে মনে হয়েছিল স্কোরবোর্ডে বড় রান উঠতে চলেছে। ষষ্ঠ ওভারের মাথায় ঝটকা দিলেন সেই কাইল জেমিসন। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও তুলে নিলেন কোহলীকে। দু’ওভার পরে ফিরিয়ে দিলেন পূজারাকেও। এত কিছুর পরেও আশা ছিল বড় রান ওঠার। কারণ ক্রিজে ছিলেন অজিঙ্ক রহাণে এবং ঋষভ পন্থ। কিন্তু কিউই বোলারদের সুইং এবং বাউন্সের সামনে শুরু থেকেই নড়বড়ে লাগছিল রহাণেকে। ফল? মধ্যাহ্নভোজের আগেই বোল্টের বলে বি জে ওয়াটলিংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন তিনি।