Advertisement
E-Paper

শাস্তি কাটিয়ে ফিরছেন ইউসুফ

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড মেনে নিয়েছে, ইউসুফ ইচ্ছাকৃত ভাবে এই রাসায়নিক নেননি, তাঁর অজান্তেই সর্দি-কাশির ওষুধের সঙ্গে তা প্রবেশ করে শরীরে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:২৩

শরীরে নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত রাসায়নিক মেলায় পাঁচ মাস নির্বাসনের শাস্তি ভোগ করছেন ভারতীয় ও কলকাতা নাইট রাইডার্স অলরাউন্ডার ইউসুফ পাঠান। প্রাথমিক নির্বাসনের এই মেয়াদ যদিও প্রায় শেষ পর্যায়ে (১৬ জানুয়ারি শেষ হচ্ছে)। কিন্তু নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে না পারলে হয়তো বড় শাস্তি এড়াতে পারতেন না বরোদার এই ক্রিকেট তারকা।

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড মেনে নিয়েছে, ইউসুফ ইচ্ছাকৃত ভাবে এই রাসায়নিক নেননি, তাঁর অজান্তেই সর্দি-কাশির ওষুধের সঙ্গে তা প্রবেশ করে শরীরে। তাই পাঁচ মাসের বেশি আর নির্বাসন দেওয়া হয়নি তাঁকে। ১৪ জানুয়ারিই সেই নির্বাসনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার পরের দিন থেকে তিনি ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে তাঁকে।

গত বছর মার্চে ইউসুফের দেওয়া নমুনায় ‘টার্বুটালিন’ নামের এক রাসায়নিক পাওয়া যায়, যা ওয়াডার নিষিদ্ধ তালিকায় রয়েছে। ডোপ পরীক্ষার এই ফল জানার পরে তাঁকে প্রাথমিক ভাবে সাসপেন্ড করা হয়, যত দিন না নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারছেন, তত দিন। তবে তা গোপন রাখা হয় ক্রিকেটারের ভাবমূর্তির কথা ভেবে।

ইউসুফ পাঠান এ দিন এক প্রেস বিবৃতিতে বলেন, ‘‘গত ২৭ অক্টোবর বোর্ড চিঠি দিয়ে আমায় জানায়, ডোপ পরীক্ষায় আমার নমুনায় ওয়াডার নিষিদ্ধ রাসায়নিক ‘টার্বুটালিন’ পাওয়া গিয়েছে। গলার সংক্রমণের চিকিৎসায় যে ওষুধ নিয়েছিলাম, তার মধ্যেই এই নিষিদ্ধ রাসায়নিক ছিল।’’

বোর্ড প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দিন জানায়, ‘‘বোর্ডের ডোপিং সংক্রান্ত আইনের ২.১ ধারায় পাঠানকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। তিনি নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়ে জানান, সর্দি-কাশির চিকিৎসার জন্য তাঁকে যে ওষুধ নিতে বলা হয়েছিল, তার পরিবর্তে তাঁকে ভুলবশত এক অন্য ওষুধ দেওয়া হয়, যা থেকে তাঁর শরীরে ওই নিষিদ্ধ রাসায়নিক প্রবেশ করে।’’ নিজের এই যুক্তির স্বপক্ষে ইউসুফ প্রমাণও দেন বলে খবর। আর বোর্ড তাঁর সেই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছে। আর সে জন্যই ১৫ জানুয়ারি থেকে তাঁর নির্বাসন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বোর্ড।

ভারতীয় গোলকিপার সুব্রত পালের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে গত বছর। সুব্রতর নমুনাতেও একই রাসায়নিক পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু তিনি প্রমাণ করেন, ইচ্ছাকৃত ভাবে তিনি এটি নেননি, ভারতীয় দলের ডাক্তারের ভুলে তাঁর শরীরে এই নিষিদ্ধ রাসায়নিক প্রবেশ করে। তাঁকেও যে ভাবে অভিযোগমুক্ত করেছিল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন, সে ভাবেই ক্রিকেট বোর্ডও ইউসুফকে মুক্তি দিল।

গত ১৭ অক্টোবরের পর থেকে ইউসুফ ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেননি। তার আগে রঞ্জি ট্রফিতে ইনদওরে মধ্য প্রদেশের বিরুদ্ধে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেন তিনি। তখনও দুঃসংবাদটা পাননি তিনি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, ২৭ অক্টোবর তাঁকে সরকারি ভাবে জানানো সত্ত্বেও কেন ইউসুফের নির্বাসনের মেয়াদ শুরু করা হল, ১৫ অগস্ট থেকে? বোর্ডের ব্যাখ্যা, তাদের ডোপিং সংক্রান্ত আইনে নির্দ্বিধায় দোষ স্বীকার করলে অভিযুক্তের শাস্তির মেয়াদের শুরু এ ভাবে এগিয়ে আনা যায়।

Yusuf Pathan Doping case Cricket BCCI Cricketer
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy