Advertisement
E-Paper

‘কাপ জয়ের এই হ্যাটট্রিকের নায়ক জিদানই’

র‌্যামেসকে কৃতিত্ব দেব সালাহ-কে ছিটকে দিয়ে লিভারপুলের মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্য। মিশরের তারকা যত ক্ষণ মাঠে ছিলেন, রিয়ালকে বিবর্ণ দেখিয়েছে।

শিশির ঘোষ

শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৮ ০৪:৪৪
সেরা: টানা তিন বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার উৎসব রিয়ালের। ছবি: গেটি ইমেজেস

সেরা: টানা তিন বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার উৎসব রিয়ালের। ছবি: গেটি ইমেজেস

অনবদ্য ম্যাচ। গ্যারেথ বেলের অবিশ্বাস্য গোল থেকে জিনেদিন জিদানের রণনীতি— দর্শকেরা যা দেখার জন্য ফুটবল মাঠে ভিড় করেন, তার সব উপাদানই ছিল শনিবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ বনাম লিভারপুল ম্যাচে।

এগারো বছর পরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠেছিল লিভারপুল। ম্যাচের শুরু থেকেই যে ভাবে ঝড় তুলেছিলেন মহম্মদ সালাহ, রবার্তো ফির্মিনহো ও সাদিয়ো মানে-রা, তাতে তো মনে হচ্ছিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোদের খালি হাতেই ফিরতে হবে। কিন্তু ২৫ মিনিটে রিয়াল অধিনায়ক সের্খিয়ো র‌্যামোসের সঙ্গে সংঘর্ষে চোট পেয়ে সালাহ মাঠ ছাড়ার পরেই ধীরে ধীরে ছবিটা বদলাতে শুরু করে। আমার মতে, রিয়ালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের হ্যাটট্রিকের নেপথ্যে বেলের যতটা অবদান, ঠিক ততটাই র‌্যামোসের।

৬১ মিনিটে ইস্কোর পরিবর্তে বেলকে নামান জিদান। তিন মিনিটের মধ্যে মার্সেলো ভিয়েরার পাস থেকে বাঁ পায়ের দুর্ধর্ষ ব্যাকভলিতে গোল করেন তিনি। দ্বিতীয় গোল করলেন ৮৩ মিনিটে দূরপাল্লার শটে। তবে শুধু সালাহ-র চোট পেয়ে মাঠ ছাড়া নয়, লিভারপুলের হারের জন্য দায়ী গোলরক্ষক লরিস কারিয়োসের মারাত্মক ভুলও। ৫১ মিনিটে এমন ভাবে তিনি বল ছুড়লেন, যা করিম বেঞ্জেমার পায়ে লেগে লিভারপুলের গোলে ঢুকে যায়। আধুনিক ফুটবলে গোলরক্ষকরা বল গ্রিপ করার ঝুঁকি নেন না। কারণ, এখন বলের ওজন কম থাকায় হাওয়ায় অনেক বেশি বাঁক খায়। এই কারণেই তাঁরা বল ঘুসি মেরে বার করে দেন। অবাক হয়ে দেখলাম, বেলের শটটা লরিস ধরার চেষ্টা করল। কলকাতা ময়দানে এ রকম ভুল করলে কেরিয়ার শেষ হয়ে যেত লরিসের।

দর্শনীয়: চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে লিভারপুলের বিরুদ্ধে গ্যারেথ বেলের ব্যাকভলিতে সেই গোল। ছবি:গেটি ইমেজেস

র‌্যামেসকে কৃতিত্ব দেব সালাহ-কে ছিটকে দিয়ে লিভারপুলের মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্য। মিশরের তারকা যত ক্ষণ মাঠে ছিলেন, রিয়ালকে বিবর্ণ দেখিয়েছে। কয়েক দিন আগেই লিভারপুল ম্যানেজার য়ুর্গেন ক্লপ বলেছিলেন, রিয়ালের লেফ্ট ব্যাক মার্সেলোর আক্রমণে উঠে আসার প্রবণতা তাঁদের সুবিধে করে দেবে। কারণ, সালাহ অনেকটা ফাঁকা জায়গা পাবেন খেলার। জিদান ম্যাচের শুরু থেকেই র‌্যামোসকে জুড়ে দেন লিভারপুল তারকার সঙ্গে। ২৫ মিনিটের মধ্যেই কাঁধে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেন সালাহ। দুর্দান্ত ভাবে ফিরে এল রিয়াল।

ম্যাচটা দেখতে দেখতে আমার ১৯৯০ বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় পশ্চিম জার্মানি বনাম নেদারল্যান্ডস ম্যাচের কথা মনে পড়ছিল। পশ্চিম জার্মানির কোচ ছিলেন কিংবদন্তি বেকেনবাউয়ার। তিনি রুদি ফোলারকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন রাইকার্ডকে আটকানোর। খেলতে না পেরে ক্ষিপ্ত ফোলারের গায়ে থুথু দেন রাইকার্ড। ম্যাচের ২২ মিনিটে দুই তারকাকেই লাল কার্ড দেখান রেফারি। তার পর থেকে হারিয়ে যায় ডাচরা। পশ্চিম জার্মানি ২-১ জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে এবং বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়। শুধু দুর্দান্ত ফুটবল নয়, সাফল্য পাওয়ার জন্য রণনীতিও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

Real Madrid Zinedine Zidane Football Liverpool Champions League Final
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy