বৃহস্পতিবার ফিকরুর ছবি তুলেছেন শঙ্কর নাগ দাস
সেমিফাইনাল খেলতে নামার বাহাত্তর ঘণ্টা আগেই দুই শিবিরের দুই বিপরীত ছবি!
বৃহস্পতিবার অনুশীলনে গরহাজির কলকাতার কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। ফিকরু এবং অর্ণব মণ্ডল বাদে আটলেটিকোর গোটা টিমকেই অনুশীলন করালেন সহকারী কোচ মিগুয়েল।
হাবাস যখন টিম হোটেলে বিশ্রাম নিতে ব্যস্ত, তখন সন্ধে নামতেই এফ সি গোয়ার বিজার্ভ বেঞ্চের ফুটবলারদের নিয়ে যুবভারতীতে হাজির জিকো। প্রায় দেড় ঘণ্টার অনুশীলন শেষে ব্রাজিলিয়ান কোচ বললেন, “প্রথম দলের ফুটবলারদের বিশ্রাম দিয়েছি। তবে রিজার্ভ বেঞ্চকে প্র্যাকটিস করালাম এই কৃত্রিম ঘাসের মাঠের সঙ্গে যাতে আগে থেকে মানিয়ে নিতে পারে। ম্যাচে হঠাত্ দরকার পড়লে অসুবিধা হবে না।”
কিন্তু প্র্যাকটিসে কেন এলেন না হাবাস? অনুশীলন শেষে বেরোনোর আগে কলকাতার গোলকিপার কোচ দেশি বখতাওয়ার অবশ্য বলে গেলেন, “কোচের শরীরটা আজ ঠিক নেই। তাই এলেন না।” তবে শুধু কী হাবাস, শরীর তো গোটা টিমেরই খারাপ! রবিবার প্রথম পর্বের মহা-ম্যাচের আগে আটলেটিকোকে গোয়ার বিশ্বকাপার ব্রাজিলীয় আন্দ্রে সান্তোস নন, রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে চোট-আঘাতের সমস্যা। গার্সিয়ার দল সেমিফাইনাল প্লে অফের আগে যেন মিনি হাসপাতাল! এ দিনই এমআরআই হল দলের অন্যতম ধারাবাহিক পারফর্মার অর্ণব মণ্ডলের। বঙ্গসন্তান স্টপারের গোড়ালির চোটের যা অবস্থা তাতে রবিবারের ম্যাচে তাঁকে পাওয়ার আশা এক প্রকার ছেড়েই দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। চোট রয়েছে দলের ডিফেন্সিভ মিডিও নাতোর। লেফট ব্যাক বিশ্বজিত্ সাহাও কাবু হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে। তবে টিম সূত্রে খবর, তাঁর খেলার সম্ভাবনা ৫০-৫০। চোট রয়েছে হোফ্রের। যদিও স্প্যানিশ এই আক্রমণাত্মক উইং হাফের দাবি, “সেমিফাইনাল ম্যাচের আগেই আমি সুস্থ হয়ে উঠতে পারব।” এ ব্যাপারে টিম ম্যানেজমেন্টের তরফে কোনও আশ্বাসবাণী মেলেনি। তবে এর চেয়েও বড় ধাক্কা ফিকরু। আটলেটিকোর ইথিওপিয়ান তারকা হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে এতটাই কাবু যে, এ দিন অনুশীলনেই নামেননি। সকালে বিজ্ঞাপণের শুটিং সেরে টিমের সঙ্গে সোজা যুবভারতীতে চলে এলেও টিম ম্যানেজমেন্টকে জানিয়ে দেন চোটের জন্য রবিবারের ম্যাচে তিনি খেলতে চান না। যা শুনে না কি চিন্তিত স্বয়ং কোচ হাবাস। তবে টিম সূত্রের খবর, ফিকরুদের সুস্থ করে তোলার জন্য তত্পর আটলেটিকোর চিকিত্সক এবং ফিজিওরা। এর পরেও গোদের উপর বিষফোঁড়া, বলজিত্ সিংহের কার্ড-সমস্যা। প্রথম সেমিফাইনালে তাঁকে পাওয়া যাবে না। এ দিন অনুশীলনের পর হোফ্রে বলে যান, “সেমিফাইনালে ঘরের মাঠে দর্শক সমর্থন একটা বড় ফ্যাক্টর। মনে রাখতে হবে ওই ম্যাচের পরেও আরও নব্বই মিনিট পাওয়া যাবে। সুতরাং ঘরের মাঠে গোল করে এগিয়ে থাকতে হবে। গোল খাওয়া চলবে না।”
কিন্তু সান্তোস-সহ গোয়ার প্রথম একাদশের ছয় ফুটবলার ফিরলে কলকাতার এই আত্মবিশ্বাস কী থাকবে? যা শুনে দলের চেক উইং হাফ পদানি বলছেন, “আরে খেলাটা তো গোয়ার সঙ্গে। কোনও বিশেষ নামের সঙ্গে তো নয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy