Advertisement
E-Paper

ইস্টবেঙ্গলকে ই-মেল করে সিদ্ধান্ত জানতে চাইলেন মর্গ্যান

শোনা যাচ্ছে সুভাষ ভৌমিকই মোহনবাগানের প্রথম পছন্দ। কিন্তু নিয়মের গেরোয় আসিয়ান জয়ী কোচ আটকে গেলে কাকে কোচ করে আনা হবে? সে জন্যই সম্ভবত ট্রেভর জেমস মর্গ্যানকে বাজিয়ে দেখতে শুরু করল সবুজ-মেরুন। আর তার জেরেই অস্ট্রেলিয়া থেকে ইস্টবেঙ্গলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কী জানতে চেয়ে মেল করলেন ব্রিটিশ কোচ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৪ ০৩:৪৪

শোনা যাচ্ছে সুভাষ ভৌমিকই মোহনবাগানের প্রথম পছন্দ। কিন্তু নিয়মের গেরোয় আসিয়ান জয়ী কোচ আটকে গেলে কাকে কোচ করে আনা হবে? সে জন্যই সম্ভবত ট্রেভর জেমস মর্গ্যানকে বাজিয়ে দেখতে শুরু করল সবুজ-মেরুন।

আর তার জেরেই অস্ট্রেলিয়া থেকে ইস্টবেঙ্গলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কী জানতে চেয়ে মেল করলেন ব্রিটিশ কোচ। মঙ্গলবার পুরানো ক্লাবকে যে মেল পাঠিয়েছেন তিনি তাতে লিখেছেন, “আর্মান্দো দলকে সাফল্য এনে দিচ্ছেন। ওঁকে ইস্টবেঙ্গল রেখে দিতে চাইলে আমার সমস্যা নেই। তবে সেটা পরিষ্কার করে আমাকে জানিয়ে দেওয়া হোক। আমি তো শুধুমাত্র ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’--- উত্তরটুকু জানতে চাই। যাতে আমার পরের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধে হয়।”

আনন্দবাজারের সঙ্গে দীর্ঘ ই-মেল সাক্ষাৎকারে মর্গ্যান ফাঁস করে দিয়েছেন ইস্টবেঙ্গলকে এই চিঠি দেওয়ার খবর। সঙ্গে যোগ করেছেন, “মঙ্গলবার রাতে আমি নিজে লাল-হলুদের এক কর্তাকে ই-মেল করে ওঁদের সিদ্ধান্তের কথা জানতে চেয়েছি। যার উত্তর এখনও পাইনি।”

ইস্টবেঙ্গলের হয়ে মর্গ্যানের সঙ্গে বরাবরই যোগাযোগ রেখেছেন ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্য এবং ইউ বি গ্রুপের প্রতিনিধি অমিত সেন। ক্লাব সূত্রের খবর, চিঠি চালাচালিও না কি চলছে অনেক দিন ধরে। তা হলে কেন হঠাৎ-ই মর্গ্যানের এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানতে চাওয়ার শেষ মেল? মর্গ্যান সরাসরি তা বলেননি। তবে জানিয়ে দিয়েছেন, “ইস্টবেঙ্গল ছাড়াও কলকাতার আরও একটি ক্লাবের প্রস্তাব রয়েছে আমার কাছে। ইস্টবেঙ্গলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানতে পারলে আমি অন্য সিদ্ধান্ত নিতে পারি।”

আলো থেকে অন্ধকারের পথে! করিম বেঞ্চারিফার

বাগান-যাত্রা কি শেষের মুখে? ছবি: শঙ্কর নাগ দাস।

কলকাতায় ফিরলে পুরনো ক্লাব ইস্টবেঙ্গলই মর্গ্যানের প্রথম পছন্দ ছিল। কিন্তু টিম আই লিগের খেতাবের লড়াইয়ে থাকায় এখনই কোচ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না ক্লাব কর্তারা। কোচ বাছার ব্যাপারে কর্তাদের নানা রকম মতও আছে বলে খবর। আনন্দবাজারকে করা ই-মেলে মর্গ্যান লিখেছেন, “ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের সঙ্গে ২২ মার্চ আমার শেষ কথা হয়েছে। তখন আমি ওদের দেওয়া প্রস্তাবিত টাকার অঙ্ক বাড়াতে বলি। দু’সপ্তাহের মধ্যে যোগাযোগ করার কথা ছিল ইস্টবেঙ্গলের। কিন্তু ওরা আমার সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ করেনি। আমি তাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানতে নিজেই মেল করেছি।” ক্লাব সূত্রের খবর, মর্গ্যানকে ক্লাবের কিছু কর্তা চাইলেও রাজি নন সচিব কল্যাণ মজুমদার। কল্যাণবাবু ইতিমধ্যেই মর্গ্যানকে ‘বিগ জিরো’ বলে দিয়েছেন প্রকাশ্যেই।

মর্গ্যানকে নিয়ে ইস্টবেঙ্গলে যে সিদ্ধান্তই হোক, পুরানো ক্লাবের সাফল্যে অবশ্য খুশি তিনি। ব্রিটিশ কোচ লিখেছেন, “ইস্টবেঙ্গলের আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে। এতে আমি খুব খুশি। এ বছর ইস্টবেঙ্গল টিমও শক্তিশালী।”

সুভাষ না, মর্গ্যান না কি অন্য কেউ-- মোহনবাগানে কোচ হয়ে কে আসবেন তা জানার জন্য আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে। তবে বর্তমান কোচ করিম বেঞ্চারিফা বুঝে গেছেন পরের মরসুমে তাঁকে আর রাখা হচ্ছে না। বুধবার সকালে অনুশীলনের পর সে রকমই ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বললেন, “কলকাতায় কোচিং করানো খুব চ্যালেঞ্জের। একটি ম্যাচের ওপর কোচের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে। এ বছর মোহনবাগান ভাল ফল করেনি। তার সব দায় আমার। ক্লাবের সদস্য-সমর্থকদের কাছে আমি তাই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। পরের মরসুম নিয়ে এখনও আমি কিছু ভাবিনি। দেখা যাক কী হয়!” মোহন-কোচের ধারণা বেঙ্গালুরু ম্যাচের হার এবং দলের কিপারের সঙ্গে গণ্ডগোল তাঁকে সংকটে ফেলে দিয়েছে।

রবিবার ইউনাইটেড স্পোর্টসের বিরুদ্ধে নামার আগে অবশ্য গোলকিপার নিয়ে তীব্র সংকটে মোহনবাগান। অনুশীলনে আসলেও অসুস্থতার জন্য এ দিন প্র্যাকটিস করেননি সন্দীপ নন্দী। তিন নম্বর কিপার মনোতোষ ঘোষের চোট সারেনি। স্বভাবতই, এ দিন ম্যাচ প্র্যাকটিসের সময় শিল্টন পালের সঙ্গে উল্টো দিকের গোলপোস্টে কিপিং করতে বাধ্য হন গোলকিপার কোচ অর্পণ দে।

east bengal morgan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy