ঋদ্ধিমান। শক্ত চ্যালেঞ্জ।
ইডেনে বিজয় হাজারে ট্রফির মূলপর্ব, অথচ বাংলা খেলবে না, তাও আবার হতে পারে? পারে, যদি শুক্রবার লক্ষ্মীরতন শুক্লর দল না জিততে পারে। শুক্রবার না জিততে পারলে আঞ্চলিক পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হবে গত বারের সেমিফাইনালিস্টদের। জয় ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে ভাবছেও না বাংলা শিবির।
শুক্রবার রাঁচির ওভাল মাঠে বাংলার প্রতিপক্ষ অসম। গত বার ইডেনে যাদের ৯৫ রানে অল আউট করে দিয়ে সাত উইকেটে ম্যাচ জিতে নিয়েছিল বাংলা। এ বারও তার পূণরাবৃত্তি করতে মরিয়া বাংলা শিবির। মাঠে দল নামানোর বারো ঘন্টা আগে বৃহস্পতিবার রাতে কোচ অশোক মলহোত্র জানালেন, “ডু অর ডাই ম্যাচের মতোই শরীরি ভাষা দেখলাম ছেলেদের। এটা ভাল ব্যাপার। ওদের জেতার ইচ্ছাটা প্রবল। এই ধরনের ম্যাচে এই ইচ্ছাটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার।” বাংলা শিবিরকে প্রেরণা জোগানোর জন্য অবশ্য ইডেনের ক্লাব হাউস থেকে এ দিন কোনও ফোন যায়নি লক্ষ্মীদের কাছে। তবু দলের ক্রিকেটাররা বেশ চার্জড বলেই জানালেন কোচ। এতটাই যে, এ দিন দলের অপশনাল প্র্যাকটিসেও হাজির ছিলেন দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটারই। পাঁচ দিনের মধ্যে তিনটি ম্যাচ খেলতে হচ্ছে বলে নিজেদের তাজা রাখার জন্য অবশ্য ঋদ্ধি, মনোজ, দিন্দারা এ দিন বিশ্রামই নিলেন। বাকিরা সবাই প্রায় ঘন্টা দেড়েক নেট প্র্যাকটিস করেন।
মিডল অর্ডারকে শক্তিশালী করে তুলতে গত ম্যাচে ঋদ্ধিমান সাহাকে পাঁচ নম্বরে নামানোর জন্য সৌরাশিস লাহিড়ীকে ওপেন করতে পাঠানো হয়েছিল, শুক্রবারও সম্ভবত তেমনই হচ্ছে বলে জানালেন কোচ মলহোত্র। দলেও কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম। উইকেট নিয়ে তাঁর বক্তব্য, “কাল ওভাল মাঠে যে উইকেটে খেলা হবে, তাতে ব্যাটিংটা ভাল করা যাবে বলেই মনে হয়।” ক্যাপ্টেন লক্ষ্মীরতন শুক্ল জানালেন, “আগের ম্যাচের উইকেটে যতটা ঘাস ছিল, এই উইকেটে তত ঘাস নেই। অনেক কম। ফলে পেসাররা এখানে হয়তো অতটা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারবে না। আশা করি, ব্যাটসম্যানরা এখানে ভাল পারফরম্যান্স দেখাতে পারবে। আমাদের স্ট্র্যাটেজি একই থাকবে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল সেরা ক্রিকেটটা খেলতে হবে আমাদের।”
ডু অর ডাই ম্যাচের আগে দলের অবস্থা নিয়ে অধিনায়ক বলেন, “সবাই সুস্থ। মাঠে নামার জন্য মরিয়া। ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে আমাদের। এ ছাড়া কোনও উপায়ও নেই। আশা করছি, ভাল খেলবে সবাই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy