Advertisement
E-Paper

কাঠগড়ায় ফিফা, অভিযোগ রিগিংয়ের

তৃতীয় বার ব্যালন ডি’অর হাতে তোলার পর থেকেই নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। প্রথমে বান্ধবী বিচ্ছেদ। তার পর কোপা দেল রে থেকে বিদায়। এবং এ বার খোদ পুরস্কারের ভোটিংয়ে রিগিংয়ের অভিযোগ। বিস্ফোরক এই অভিযোগ এনেছেন মেক্সিকোর কোচ মিগুয়েল হেরেরা। পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, তিনি রোনাল্ডোকে তাঁর প্রথম ভোটটা দেননি। কিন্তু ফিফার তালিকায় উল্টোটাই দেখা যাচ্ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:০০
ব্যালন ডি’অর জেতার পর মায়ের সঙ্গে।

ব্যালন ডি’অর জেতার পর মায়ের সঙ্গে।

তৃতীয় বার ব্যালন ডি’অর হাতে তোলার পর থেকেই নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। প্রথমে বান্ধবী বিচ্ছেদ। তার পর কোপা দেল রে থেকে বিদায়। এবং এ বার খোদ পুরস্কারের ভোটিংয়ে রিগিংয়ের অভিযোগ। বিস্ফোরক এই অভিযোগ এনেছেন মেক্সিকোর কোচ মিগুয়েল হেরেরা। পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, তিনি রোনাল্ডোকে তাঁর প্রথম ভোটটা দেননি। কিন্তু ফিফার তালিকায় উল্টোটাই দেখা যাচ্ছে।

দু’বছর আগে হোসে মোরিনহো অভিযোগ তুলেছিলেন, ব্যালন ডি’অরে গড়াপেটা হয়। এ বার হেরেরার অভিযোগের পর বিতর্ক সম্পূর্ণ অন্য মাত্রা পেয়ে যাচ্ছে। মেক্সিকোর কোচ বলেছেন, “আমি রোনাল্ডোকে না, ফিলিপ লামকে প্রথম ভোটটা দিয়েছিলাম।”

ব্যালন ডি’অরজয়ীকে বাছা হয় সদস্য দেশগুলোর কোচ, অধিনায়ক, সাংবাদিকদের ভোটে। প্রত্যেকে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পছন্দ বেছে নিয়ে ভোট দেন। ২০১২ সালে মোরিনহোর অভিযোগ ছিল, তিনি রোনাল্ডোকে প্রথম পছন্দ হিসাবে ভোট দিলেও পরে ফিফার প্রকাশিত তালিকায় দেখা গিয়েছে, সেই ভোট মেসির নামের পাশে পড়েছে। যা নিয়ে মোরিনহো বলেছিলেন, “পুরো ব্যালন ডি’অর গড়াপেটা ছাড়া কিছু নয়। মেসিকে জেতাতে মরিয়া থাকে ফিফা।” মোরিনহোর মন্তব্যকে তখন পাত্তা না দেওয়া হলেও, হেরেরার অভিযোগের পরে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে এই নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত কি না।

মেক্সিকো কোচের দাবি, প্রথম পছন্দের নীচে তিনি ফিলিপ লামের নামই লিখেছিলেন। কিন্তু ভোটিং তালিকায় পেশ করার পরে হেরেরা অবাক হয়ে দেখেন, তাঁর প্রথম ভোট রোনাল্ডোকে দেওয়া হয়েছে। ফিফার বিরুদ্ধে সরাসরি কোনও অভিযোগ না আনলেও, হেরেরা সাফ বলেছেন, “মেনে নিচ্ছি রোনাল্ডো আর মেসি দু’জনেই অন্য গ্রহের ফুটবলার। কিন্তু আমি লামকেই ভোট দিয়েছিলাম। জানি না কী করে রোনাল্ডো সেই ভোটটা পেয়ে গেল।” ক্লাব ফুটবলে সিআর সেভেনের স্বপ্নের মরসুম গেলেও হেরেরার যুক্তি, কোনও বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নের পাওয়া উচিত ছিল ব্যালন ডি’অর। যে কারণে লামের পাশে নিজের ভোট দেন মেক্সিকো কোচ। “ মনে হয়েছিল কোনও জার্মানকেই ভোট দেওয়া উচিত ছিল। একজন বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নই যোগ্য দাবিদার। ন্যয়ার খুব ভাল খেলেছে বিশ্বকাপে। কিন্তু আমার পছন্দ ছিল লাম।”


রোনাল্ডোরা কী দেখছেন? স্টেফানি বলছেন, নিশ্চয়ই মেঝে! ব্যালন ডি’অর রাতের সেই বিতর্কিত ছবি।

হেরেরার ভোট পাওয়া না পাওয়ার উপর রোনাল্ডোর ভাগ্য নির্ভর ছিল না, কিন্তু মেক্সিকান কোচের এই বিস্ফোরণের পর গোটা ব্যালন ডি’অরের ভোটিং পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন উঠে যেতে পারে।

শুধু ফুটবলারের ভোট নয়, কোচ বাছার ক্ষেত্রেও নাকি ‘রিগিং’ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। অভিযোগ তুলেছেন আটলেটিকো তারকা আর্দা তুরান। হেরেরার মতো তুরানও বলে দিয়েছেন, সেরা কোচের ভোট তিনি দিয়েছিলেন তাঁর ক্লাব কোচ দিয়েগো সিমিওনেকে। তবে সেটা রহস্যজনক ভাবে পেয়ে যান হোসে মোরিনহো!

রোনাল্ডোকে বিদ্রুপ স্টেফানির
নিজস্ব প্রতিবেদন

বান্ধবী বিচ্ছেদের যন্ত্রণার মধ্যে নতুন খোঁচা রোনাল্ডোকে! আর সেটা এল পুসকাস পুরস্কার তালিকায় দু’নম্বরে থাকা আয়ার্ল্যান্ডের মহিলা ফুটবলার স্টেফানি রোচের কাছ থেকে। ব্যালন ডি’অর রাত থেকে যে ছবিটা ইন্টারনেটের দৌলতে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে, তা হল, স্টেফানি হেঁটে যাচ্ছেন মঞ্চের দিকে আর মেসি-রোনাল্ডো মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছেন তাঁর পায়ের দিকে। এই নিয়ে এখন প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে স্টেফানিকে। এবং যার জবাবে মুচকি হেসে এই মেয়ে ফুটবলার বলেছেন, “রোনাল্ডোরা নিশ্চয়ই মেঝের দিকে তাকিয়ে ছিল।” স্টেফানি আরও বলেছেন, “আমি জানি আমাকে এই ছবিটা নিয়ে প্রশ্ন করা হবে। আমার বন্ধুরা পর্যন্ত এসএমএস করে বলেছে, পুরস্কার পাওনি তো কী হয়েছে। বিশ্বের সেরা দুই ফুটবলারের নজর তো কেড়েছ! তবে আমার বয়ফ্রেন্ড এই নিয়ে চিন্তিত নয়। কারণ ও জানে আমি কোথাও যাচ্ছি না।” এ সবের মাঝেই মিডিয়ায় রোনাল্ডোর বিচ্ছেদ নিয়ে নতুন খবর ছড়াচ্ছে। যেমন বলা হচ্ছে, রোনাল্ডোর মায়ের ৬০তম জন্মদিনে ইরিনা শায়েক না আসায় যাবতীয় ঝামেলা শুরু। যে কারণে রাগে নাকি ইরিনার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেন রোনাল্ডো। কারণ যাই হোক না কেন, সব মিলিয়ে কিন্তু সময়টা একদমই ভাল যাচ্ছে না সিআর সেভেনের।

balon d'or fifa rigging complaint
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy