কোহলির বিরাট মেজাজকে এ বার প্রকারান্তরে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বসল অস্ট্রেলীয় ড্রেসিংরুম!
“ও মাঠে যে ভঙ্গিতে ক্রিকেটটা খেলতে চায়, খেলুক। আক্রমণাত্মক মেজাজ দেখানোর পূর্ণ স্বাধীনতা আছে কোহলির। আইসিসি আছে। তারা বুঝে নেবে কোনও ক্রিকেটার মাঠে আগ্রাসন দেখাতে গিয়ে সীমা অতিক্রম করে ফেলছে কি না!” মেলবোর্নে চতুর্থ দিনের শেষে সাংবাদিকদের বলে দিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার।
অজি ওপেনারের এহেন মন্তব্যকে সে দেশের ক্রিকেটমহল মনে করছে, কোহলির পাল্টা স্লেজিং থামাতে টিম অস্ট্রেলিয়ার নতুন কোনও গেমপ্ল্যান। কোহলি যা খুশি বলতে পারে, যা খুশি করতে পারে বলে তাঁকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলার চেষ্টা! এ দিনও জনসন-কোহলিতে মাঠে মৌখিক ঠোকাঠুকি অব্যাহত ছিল।
দিনের শেষ উইকেট জনসন পড়ার পর প্যাভিলিয়নমুখী আউট হওয়া ব্যাটসম্যানের উদ্দেশ্যে ভারতীয়দের তরফে কিছু বলা হয়! যে প্রসঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনে ওয়ার্নার বলেছেন, “আমি ওই সময় ড্রেসিংরুম থেকে ঠিক দেখিনি জনসনকে ভারতীয়রা কী বলছিল! তবে কোহলিকে হাডিনের পিছনে লাগতে দেখা গিয়েছে আজও। যদি কোহলি এ ভাবেই ক্রিকেটটা খেলতে চায়, খেলুক! দিনের শেষে আমরাও কিন্তু আগ্রাসী ক্রিকেটটা খেলি। যদিও ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি, মাঠের ব্যাপার মাঠেই থাকা উচিত। মাঠের বাইরে আনাটা ঠিক নয়।”
কোহলির আগের দিনের ‘আমাকে যারা মাঠে সম্মান করে না, আমিও তাদের সম্মান দেখাই না’ মন্তব্যের প্রতিক্রিয়াও এ দিন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার দিয়েছেন। ওয়ার্নার বলছেন, “একশো ষাটের বেশি রান করেছে তো! তার পর এ রকম একটা মতামত দিতেই পারে কোহলি। ও যা মনে করে ওকে বলতে দিন। সেটা ঠিক বলছে না ভুল, সেটা ওর ব্যাপার। তবে সব কিছুরই সীমা আছে। আর ক্রিকেটে সেই সীমানা দেখার জন্য আইসিসি আছে। প্লেয়ারকে জরিমানা, সতর্ক করার ব্যাপার বলেও কিছু একটা আছে আইসিসির বিধানে।”
পাশাপাশি অবশ্য অস্ট্রেলীয় শিবির কোহলির ইতিবাচক ব্যাটিংকে যে সমীহও করছে সেটা ওয়ার্নারের পরের মন্তব্যে অনেকটা স্পষ্ট। অ্যাডিলেডে প্রথম টেস্টের পঞ্চম দিন কোহলিদের রান তাড়া করার স্মৃতি রীতিমতো টাটকা ওয়ার্নারদের। সে জন্যই হয়তো এ দিন বলেছেন, “এমসিজিতে শেষ দিন ভারতকে দ্বিতীয় ইনিংসে নামানোর আগে আমাদের বোর্ডে আরও কিছু রান চাই। ৩২৬ রানে এগিয়ে আমরা ওদের এই টেস্টে জেতার টার্গেট দিতে হয়তো চাইব না।”
রবিচন্দ্রন অশ্বিন অবশ্য এ দিনই বলে দিয়েছেন, জেতার জন্য যে রানই তাড়া করতে হোক না কেন, ভারত কাল তাড়া করবে। “আমরা ইতিবাচক মনোভাব নিয়েই কাল ব্যাট করব। তার পর দেখা যাবে, কী ঘটে ম্যাচে!” সাংবাদিক সম্মেলনে অবশ্য অশ্বিন একই সঙ্গে বলেছেন, “পাঁচ দিনের ম্যাচের শেষ দিন যে কোনও টার্গেট তাড়া করাটাই খানিকটা গোলমেলে ব্যাটিং দলের কাছে। এটা টেস্ট ম্যাচ। যেটা ক্রিকেটারের স্কিল আর অ্যাটিটিউড, দুটোরই চূড়ান্ত পরীক্ষা নেয়। তবে আমরা এখানে জিততে এসেছি। এবং সেই মনোভাব নিয়েই মঙ্গলবারও মাঠে নামব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy