Advertisement
E-Paper

গৌতমের পরে চোট বাংলার সৈকতেরও

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ২৩:১৬

প্রতিদ্বন্দ্বী পঞ্জাবের সঙ্গে তাদের প্রথম খেলা ২৭ ফেব্রুয়ারি। তার আগে চোট পেলেন বাংলা দলের অন্যতম ফুটবলার সৈকত সাহা। রবিবার শিলিগুড়িতে অনুশীলনের সময় হাঁটুতে চোট পান তিনি। সোমবার অনুশীলনে সে কারণে সমস্যা হয় তাঁর। অন্য দিকে গোড়ালির চোট এখনও সেরে ওঠেনি দলের অপর ডিফেন্ডার গৌতম দেবনাথের। এই দুই ফুটবলারকে নিয়ে কিছুটা চিন্তায় রয়েছেন কোচ শিশির ঘোষ, মেন্টর প্রদীপ দত্তেরা। কোচ অবশ্য আশাবাদী বৃহস্পতিবার ম্যাচের আগে সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবেন সৈকত, গৌতমেরা।

এ দিন সকালে প্রথমে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের মাঠে ফুটবলারদের নিয়ে অনুশীলন শুরু করেন কোচ। তবে এই মাঠেই মূলপর্বের খেলা শুরু বলে মাঠে অনুশীলন বন্ধ করে দেয় আইএফএ। সেখান থেকে সূর্যনগর মিউনিসিপ্যাল মাঠে অনুশীলন করতে যান বাংলার নীলকান্ত পেরিয়ার, শুকদেব মুর্মু, কার্তিক কিস্কুরা। কোচ বলেন, “সৈকতের হাঁটুতে চোট রয়েছে। তবে মনে হচ্ছে ম্যাচের আগে ঠিক হয়ে যাবে।” এ দিন রাতে এ ব্যাপারে বিস্তারিত রিপোর্টও নেন ডিটি বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। তিনি জানান, গৌতমের চোট আগে থেকেই রয়েছে। জাতীয় স্তরে, ফেড কাপ খেলতে গেলে সে সময় চোট পেয়েছিলেন গৌতম। এ দিনই দুপুরে শিলিগুড়িতে পৌঁছে দলের সঙ্গে যোগ দেন তিনি।

সন্তোষ ট্রফির প্রথম দিনে উত্তরাখণ্ড ও মহারাষ্ট্রের খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছেন প্রাক্তন ফুটবলার শ্যাম থাপা।—নিজস্ব চিত্র।

বাংলার গ্রুপে তামিলনাড়ু, গোয়া, পঞ্জাব, রেলওয়েজের মতো দল রয়েছে। মঙ্গলবার গোয়া-পঞ্জাব, ও রেলওয়েজ-তামিলনাড়ুর খেলা রয়েছে। প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলতে নামার আগে শিলিগুড়িতে তাদের খেলা দেখে নিতে চাইছেন দলের কোচ, ফুটবলারেরা। টিডি প্রদীপ দত্ত বলেন, “পঞ্জাব, গোয়া, রেলওয়েজের মতো দলের খেলা ম্যাচের আগে দেখে নিলে সুবিধা হতে পারে। আমরা চাইছি ম্যাচগুলি দেখতে।”

দলের নতুন ফুটবলার যাঁরা যোগ দিয়েছেন তাঁরা দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবেন বলে কোচ আত্মবিশ্বসী। তবে প্রথম ম্যাচ নিয়ে তিনি কিছুটা চিন্তায়। কোচ বলেন, “আমি দলের ফুটবলারদের নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। প্রথম ম্যাচ দেখলে অনেকটা বোঝা যাবে।”

এ দিন থেকে সন্তোষ ট্রফির মূল পর্বের খেলা শুরু হল শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে। প্রথম ম্যাচে মহারাষ্ট্র ৩-২ গোলে জেতে উত্তরাখণ্ডকে হারিয়ে। শুরু থেকেই উত্তরাখণ্ডকে চাপে রেখেছিল মহারাষ্ট্রের অ্যালান দিয়াস, সন্তো, কোলিরা। যদিও ১৯ মিনিটের মাথায় প্রথম গোলটি করে উত্তরাখণ্ডের অশোক সিংহ। ৩৭ মিনিটের মথায় সন্তো, কোলির বাড়ানো বল থেকে গোল শোধ করে অ্যালান দিয়াস। এর পর শাবাজ পাঠানের গোলে এগিয়ে যায় মহারাষ্ট্র। ৬৮ মিনিটের মাথায় বক্সে হ্যান্ডবল থেকে পেনাল্টি পায় উত্তরাখণ্ড। গোল করে তারা সমতা ফেরায়। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। খেলা শেষের দু’মিনিট আগে মহারাষ্ট্রের হয়ে জয়সূচক গোল করেন সন্তোষ কোলি।

সন্ধ্যায় ফ্লাডলাইটে অপর ম্যাচে ৩-১ গোলে কেরলকে হারায় মিজোরাম। তবে প্রথম গোল পেতে বেগ পেতে হয়েছে মিজোরামকে। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৫ মিনিটের মাথায় লালবিয়াখুয়া প্রথম গোল করে মিজোরামের হয়ে। এর পর ৫৭ মিনিট এবং ৭১ মিনিটের মাথায় গোল করেন জিকো জোরেমসঙ্গ এবং লালরিন পুঁইয়া। কেরলের হয়ে একমাত্র গোল করেন নাজারুদ্দিন চেরিয়াথ।

santosh trophy
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy