হরমনজ্যোৎ সিংহ খাবরা।
ফেড কাপের গোয়া দু’হাত ভরে দেয়নি লাল-হলুদকে। খাবরার দলের ফেড কাপের স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছিল গোয়ারই স্পোর্টিং ক্লুব। আই লিগে সেই গোয়া থেকেই আত্মবিশ্বাসের অক্সিজেন সিলিন্ডার পূর্ণ করে শহরে পা দিতে পারবেন কি ডুডু-র্যান্টিরা?
ফোনে প্রশ্নটা শুনে লাল-হলুদের টেকনিক্যাল ম্যানেজার অ্যালভিটো ডি’কুনহা বলে ফেললেন, “আরে ছেলেদের তো সেটাই বলছি। তিন পয়েন্ট না হলেও এক পয়েন্ট অন্তত চাই। হেরে ফেরা চলবে না।”
আর্মান্দোর প্রতিপক্ষ এর আগের ম্যাচেই এ বারের লিগে প্রথম জয় পেয়েছে। সেখানে আবার শনিবার ডেরেক পেরিরার সালগাওকরকে হারাতে পারলে লিগে জয়ের হ্যাটট্রিক হয়ে যাবে আর্মান্দোর দলের। আর্মান্দোর পঞ্জাবি অধিনায়ক হরমনজ্যোৎ সিংহ খাবরা বলছেন, “নিজেদের সেরাটা দিতে হবে। জিতলেই ডার্বির আগে আত্মবিশ্বাস, মোটিভেশন বাড়বে। কলকাতায় বেঙ্গালুরু ম্যাচে যে ভাবে সুনীল ছেত্রীকে আটকেছিলাম, সে ভাবেই ওদের ড্যারেল ডাফি আর ডুহু পিয়েরকে বোতলবন্দি করে ফেলতে হবে।” পরে রাতে যখন জানতে পারলেন ডার্বি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, তখন অবশ্য বললেন, “অতশত বুঝি না। সালগাওকরকে হারিয়ে তিন পয়েন্ট চাই-ই চাই।”
ডেরেকের দলের প্রাণভোমরা স্কটিশ স্ট্রাইকার ড্যারেল ডাফি এবং আইভরি কোস্টের মিডিও ডুহু পিয়ের। প্রথম জন গোল করেন। দ্বিতীয় জন গোলের ঠিকানা লেখা পাস বাড়ান বিপক্ষের পেনিট্রেটিভ জোনে। এ দিন সকালে টিম নিয়ে অনুশীলনের সময় এই কথাটাই ফুটবলারদের মাথায় নাকি ঢুকিয়ে দিয়ে গিয়েছেন আর্মান্দো। হয়তো তার জোশেই লাল-হলুদ অধিনায়ক বলে দিলেন, “ওরা দু’জনেই বেশ ভয়ঙ্কর। ফাঁকা জায়গা দেওয়া যাবে না একদমই।”
এ রকম পরিস্থিতিতে অতীতে যে দু’জন ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ ও মাঝমাঠে বিপক্ষের জন্য পাঁচিল তুলে দিতেন, সেই অর্ণব ও মেহতাব অবশ্য চোটের জন্য এই ম্যাচে নেই। কলকাতার বাড়িতে বসেও মেহতাব বলছেন, “ফেড কাপের পর যে আত্মবিশ্বাস কমে গিয়েছিল সেটা সালগাওকরকে হারালেই ফিরবে। আর আমরা কিন্তু এখনও হারিনি আই লিগে।” তিন ম্যাচে সাত পয়েন্ট ইস্টবেঙ্গলের। সেখানে চার ম্যাচে সালগাওকরের পাঁচ। ডেরেক বলছেন, “ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ মানেই অন্য চ্যালেঞ্জ। ডুহু-ডাফি দু’জনেই ম্যাচ ফিট। এর সুযোগ নিতেই হবে আমাদের।”
শনিবারে আই লিগ
ইস্টবেঙ্গল : সালগাওকর (গোয়া, ৪-৩০)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy