চার বছরে এক বার হয়েই থাকে। বিশ্বকাপ ফুটবলের জন্য উইম্বলডনের তারকাদের ফোকাস নড়ে যায়।
এই যে আমি এ বার উইম্বলডনে মেয়েদের লড়াই নিয়ে লিখতে বসেছি, মাথায় কিন্তু ঘুরছে জার্মানি-ঘানা ম্যাচ। পর্তুগালের মতো দলের বিরুদ্ধে আমাদের দল যা শুরু করল! ঘানা ভাল দল। কিন্তু পর্তুগাল ম্যাচের মতো ফর্ম দেখাতে পারলে আজ রাতেও দেশের বারগুলোতে বিয়ারের ফোয়ারা ছুটবে। বিশ্বকাপ শুরুর আগে বলেছিলাম এ বার হয়তো কোনও লাতিন দল চ্যাম্পিয়ন হবে। এখন মনে হচ্ছে জার্মানি, ফ্রান্সেরও যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বার বরং টেনিসে ফেরা যাক। মারিয়া শারাপোভার কিন্তু এই মরসুমটা বেশ ভালই কাটছে। গত কয়েক বছরে যে চোট-আঘাত সমস্যা ওর টেনিস জীবনে বড় বাধা হয়ে উঠেছিল, সেই সমস্যা ইদানীং ও অনেকটা কাটিয়ে উঠেছে। নোভাকের সঙ্গে ট্রেনিং করার সময় সে দিন কে যেন বলছিল, মারিয়ার প্রথম উইম্বলডন খেতাব জয়ের দশ বছর হয়ে গেল। কথাটা শুনে বেশ অবাক হলাম। সময় কত দ্রুত চলে যায়! এই সময়টাকে যদি ও তলিয়ে ভাবে, তা হলে আমার মতে সবার আগে মারিয়াই স্বীকার করবে যে, এই সময়ে ওর আরও কয়েকটা উইম্বলডন খেতাব জিতে নেওয়া উচিত ছিল। রোলাঁ গারোয় অপছন্দের ক্লে কোর্টে গত তিন বছরে দু’বার খেতাব জিতে হয়তো সেই জ্বালা অল্প হলেও মেটাতে পেরেছে মারিয়া।
দ্রুত গতির কোর্ট পছন্দ করায় উইম্বলডনে বরাবর ফেভারিট মারিয়া। যেমন সেরেনা ফেভারিট তার বিধ্বংসী সার্ভ ও পাওয়ার গেমের জন্য। ফরাসি ওপেনের শুরুতেই ও ছিটকে যাওয়ায় চমকে গিয়েছিলাম। উইম্বলডনেও সহজ ড্র পায়নি। তাই প্রথম রাউন্ডেই বোঝা যাবে, কেমন কাটবে ওর এই টুর্নামেন্টটা। রোলাঁ গারোর ফাইনালিস্ট সিমোনা হালেপ আর প্যারিসে যে সেরেনাকে হারিয়েছিল, সেই গারবিন মুগুরুজাও অবশ্যই ফোকাসে থাকবে। তবে ক্লে থেকে ঘাসের কোর্টে হালেপকে দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে। আর গারবিনের হাতে পাওয়ার গেমের অস্ত্র আছে। সাবিনে লিসিকি-র কথাও মনে রাখতে হবে। মনে রাখবেন, চোটের জন্য তিন মাসের বিশ্রামের পর কোর্টে ফিরে এসেছে ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কা। তবে ছন্দে ফিরে আসতে ওকে একটু সময় দিতেই হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy