একটা সিরিজ বা টুর্নামেন্টে টানা হারেও কখনও কখনও উপভোগ্য কিছু মুহুর্ত আসতে পারে। কিন্তু টানা জয়ের মাঝে খারাপ সময় কখনওই আসে না। আমাদের এখন সে রকমই একটা সময় চলছে।
দু’বছর আগে যে বার চ্যাম্পিয়ন হলাম, তখন আমি আমার ক্রিকেট জীবনের সেরা সময়ে। সাফল্যের খিদে ও তার জন্য সমস্ত রকমের প্রশংসা পাওয়ার ইচ্ছা ছিল প্রবল। মাঝে মাঝে এমন হয় যে, সাফল্যের রেশ জয়ের আনন্দকে পুরো উপভোগ করতে দেয় না। সে বারও অনেকটা তা-ই হয়েছিল। তখন থেকেই ফের আর একটা আইপিএল ফাইনালে উঠে এই অসাধারণ পরিবেশটাকে প্রাণ ভরে উপভোগ করার ইচ্ছে। দু’বছর পরই যে সুযোগটা পাব, ভাবিইনি।
প্রথম সাতটার মধ্যে পাঁচটা ম্যাচে হেরেও অনায়াসে দু’নম্বর দল হিসেবে লিগ শেষ করাটা অবাক করার মতো হলেও টুর্নামেন্টে আমাদের এই ভাল খেলাটা কিন্তু তেমন অপ্রত্যাশিত নয়। শুরু থেকেই তো বলে আসছি যে, আমার বিশ্বাস, কেকেআরের মতো ব্যালান্সড দল এই টুর্নামেন্টে খুব কম ফ্র্যাঞ্চাইজিরই আছে।
আইপিএলে কোনও কোনও দলের সামনে ১২, ১৩ এমনকী ১৪টা ম্যাচের পরও শেষ ম্যাচে হওয়া ভুল শোধরানোর উপায় থাকে। কিন্তু এখন সেই উপায় কোথায়। সে জন্যই এখন চাপমুক্ত থাকা ও খেলাটাকে উপভোগ করা ছাড়া কোনও উপায় নেই। ম্যাচের দিন অনেক কিছুই হতে পারে। কিন্তু যে দল বেশি চাপ নিয়ে মাঠে নামবে, তাদের ক্ষেত্রেই খারাপ কিছু হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যে দল গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্তগুলোয় নিজেদের স্বাভাবিক রেখে সুযোগ কাজে লাগাতে পারে, সে দলই শেষ হাসি হাসে। আজও তা-ই হবে বলে আমার বিশ্বাস।
পুরো টুর্নামেন্টটাই দুর্দান্ত খেলেছে কিংস ইলেভেন পঞ্জাব। তাই ফাইনালে ওঠাটা ওদের প্রাপ্যই ছিল। ওদের এমন কিছু ক্রিকেটার আছে, যারা স্পটলাইটে থাকতে পছন্দ করে। আর আইপিএলে এখন পর্যন্ত ওরা কখনও এই জায়গায় আসেনি বলে ওদের কর্মকর্তা থেকে সাপোর্ট স্টাফ, সবাই ভাল কিছুর দিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে রয়েছেন। তবে সে জন্য পঞ্জাব বেশি চাপ নিয়ে ফেললে কিন্তু বিপদে পড়বে। নাইট সমর্থক এবং ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য যারা দিন-রাত খেটে চলেছে, তাদের কাছেও এটা বিশাল ব্যাপার। জিতি বা হারি, ওদেরও আজকের দিনটা আসলে উপভোগ করার দিন। এই জায়গায় আসতে পারটাই তো আসল ব্যাপার। নিজ নিজ ভূমিকা ঠিকঠাক পালন করার জন্য এবং কেকেআর-কে আবার একটা আইপিএল ফাইনালে তোলার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy